যেভাবে তৈরি হয়েছে এসজি গোলাপি বল

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বলের ওজন ১৫৬ থেকে ১৬৩ গ্রাম। ভারতের মাটিতে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে দিবা-রাত্রির টেস্ট। কৃত্রিম আলোয় ব্যাট-বলের ঠুকঠাক শব্দ শোনা যাবে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। মুখোমুখি হচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারত। দিবা-রাত্রির টেস্ট মানেই গোলাপি বল। এখন পর্যন্ত যে ১১টি দিবারাত্রির টেস্ট হয়েছে, প্রত্যেকটিতে ব্যবহৃত হয়েছে কুকাবুরার প্রস্তুতকৃত গোলাপি বল। ভারত তাদের মাটিতে নিয়মিত খেলে আসছে এসজি বলে। গোলাপি বলও প্রস্তুত করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এসজি। প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং ডিরেক্টর পরশ আনন্দ জানালেন, একটি গোলাপি বল প্রস্তুত করতে তাদের সময় লেগেছে আট দিন। আর ইডেনে যেহেতু প্রথমবারের মতো ম্যাচ হবে গোলাপি বলে, তাই বল প্রস্তুতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছেন তারা। এসজি বল বরাবরই পেস বোলারদের সহায়তা করে। কুকাবুরার তুলনায় এসজি বলের সিম বেশ ভালো হয়। বাতাসে সুইং কিংবা পিচে পড়ে আরও ভালো সুইং করতে পারে। বল যত পুরনো হতে থাকে, ততই রিভার্স হতে থাকে। ফিল্ডাররা তখন শুধু একদিকেই ঘষতে থাকেন। এতে করে বলের একদিক পুরনো হয়, অন্যদিক চকচক করতে থাকে। পরশ আনন্দ নিশ্চিত করেছেন, গোলাপি বলে পেসাররা স্পিনারদের থেকে বাড়তি সুবিধা পাবে, 'বলটিতে সিম অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে। ফলে দ্রম্নতগতির বোলাররা বেশি সুবিধা পাবে। বাউন্সও পাবে পছন্দমতো। তবে ব্যাটসম্যানরা একটু আস্তে খেললেই বল দ্রম্নত দৌড়াবে।' গোলাপি বলে অনুশীলন করে বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ একই কথা বলেছিলেন। বল ব্যাটে লাগলেই দ্রম্নত যায়। ফলে ফিল্ডারদের জন্য এটা নতুন এক চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাটে এসজি কোম্পানির ফ্যাক্টরি। সেখানেই গোলাপি বল প্রস্তুত করা হয়েছে। কীভাবে এসজি গোলাপি বল প্রস্তুত করেছে, সেটাই এখন সবার আগ্রহ। পরশ আনন্দ কিছুটা ধারণা দিয়েছেন, 'প্রথমে চামড়ায় গোলাপি রং শুকানো হয়। এরপর মেশিন ও হাতের সাহায্যে সেই চামড়া প্রেস করার কাজ করা হয়। প্রথম স্তরে দুটি কাজ করা হয়। এরপর মসৃণ চামড়া থেকে টুকরো টুকরো পিস কাটা হয়। একটি বলে ব্যবহৃত হয় চার পিস চামড়ার টুকরো।'