পত্নীতলায় সরিষার বাম্পার ফলন

একদিকে খরচ কম এবং মাটি ও আবহাওয়া সরিষা চাষের উপযোগী হওয়ায় আমন ও ইরি-বোরো চাষের মাঝের একটি উদ্বৃত্ত উৎপাদনকারী ফসল হিসেবে পত্নীতলায় কৃষি বিভাগ সরিষা আবাদে অত্রাঞ্চলের কৃষকদের উৎসাহিত করছে। কৃষি বিভাগ আশা করছে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে পত্নীতলায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সরিষা চাষের উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছর এ অঞ্চলে প্রচুর সরিষা উৎপাদন হয়। চলতি বছরে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি-১১, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, টোরী-৭, বীনা-৯, বিনা সেচে সরিষা, সম্পদ এবং স্থানীয় জাতের সরিষা চাষের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কৃষি অফিস আশা করছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর সরিষা ক্ষেতে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৮ মণ হারে সরিষা ফলন হতে পারে। ভোজ্যতেলের ব্যাপক চাহিদা ও বাজার চড়া থাকায় এবারে সরিষার ভালো দামও পেতে পারেন কৃষকরা। সরেজমিন দেখা যায়, শিহাড়া ইউপির জামালপুর গ্রামে অবস্থিত আনারুল ইসলাম উজ্জ্বল ও রিনা খাতুন সরকারিভাবে কৃষি সরিষা প্রদর্শনী পস্নটের প্রস্তুতি নিয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোসেন জানান, কৃষক ছানারুলকে দেখে আশেপাশের অন্য কৃষকরাও সরিষা আবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। সরিষা আবাদে খরচ কম এবং আমন ও ইরি-বোরো চাষের মাঝের একটি উদ্বৃত্ত উৎপাদনকারী ফসল। তাই এর দিকে বেশি ঝুঁকছেন অত্রাঞ্চলের কৃষকেরা।