শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের মালামাল ক্রয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সোমবার মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্ম সচিব (নির্মাণ ও মেরামত অধিশাখা) আজম খানকে প্রধান করে এ কমিটি করা হয়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের দুর্নীতি তদন্তে এক সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। জানা যায়, ওই মেডিকেল কলেজে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, চেয়ার ও সাউন্ড সিস্টেমসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র বাজারদরের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে কেনা হয়। মন্ত্রণালয় এমন খবরের সত্যতা নির্ণয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। সোমবার এ ব্যাপারে অভিযোগ গঠনের জন্য হবিগঞ্জ জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুদকের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান। তিনি জানান, প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি পেলেই তদন্ত শুরু হবে। একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বছরেই বড় ধরনের এ দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। কলেজের নামে ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকার টেন্ডার ভাগ-বাটোয়ারার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি দামে জিনিসপত্র কিনে নিট বরাদ্দের বড় অংশই পকেটস্থ করা হয়েছে বলে উলেস্নখ করা হয়। উলেস্নখ্য, ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর শহরের নিউফিল্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় অ্যাডভোকেট আবু জাহির এমপি হবিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বালস্না স্থলবন্দর আধুনিকায়নের দাবি জানান। পরে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবারও উদ্যোগ নেয়। অস্থায়ী ক্যাম্পাস নির্ধারণ হয় নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যা ভবন। সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু সফিয়ানকে নিয়োগ করা হয় মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ। পরে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি ৫০ শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরুর মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় এ মেডিকেল কলেজের। এরই মাঝে কলেজের নামকরণ করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে।