ডিমলায় মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা নীলফামারীর ডিমলায় ভুয়া দলিল তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধার জমি রাতের আঁধারে দখল করেছে প্রতি পক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলা সদরের দক্ষিণ তিতপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, দক্ষিণ তিতপাড়া মৌজার ৬৩ এর রেকর্ড মূলে দাগ নং-১০৭ (সাবেক) বর্তমান দাগ নং-১৯০, খতিয়ান নং-২৯১/১ (সাবেক), হাল খতিয়ান নং-১১১, জেএল নং- ২৭ এর ১২ শতক জমির সাবেক মালিক দক্ষিণ তিত পাড়া গ্রামের হুলিনাথ সিংহ রায়ের পুত্র হরেন্দ্রনাথ সিংহ রায়। তিনি ১৯৭৮ইং সালের ২৫ নভেম্বর তার দখলীয় ১২ শতক জমি একই এলাকার লক্ষ্ণীকান্ত শীলের ছেলে হিরালাল শীলের কাছে বিক্রয় করেন। পরবর্তীতে হিরালাল শীল মৃতু্য বরণ করলে তার ছেলে বাদল চন্দ্র শীল ও স্বপন চন্দ্র শীল নাবালক থাকায় হীরালাল শীলের স্ত্রী শ্রী মতি দুর্গা লাল শীল অভিভাবক সূত্রে ওই ১২ শতক জমি ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৪ইং সালে উপজেলার মধ্যছাতনাই গ্রামের ফমিজ উদ্দিন সরকারের ছেলে আব্বাস আলী সরকারের কাছে ৬ শতক ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরকারের কাছে ৬ শতক জমি বিক্রয় করেন। ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক হয়ে আব্বাস আলী সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরকার নিজ নামে নং ৪৩৮/৯০/৯১, তারিখ-১৩. ০১. ১৯৯১ইং নাম খারিজ করে নেন। এবং ১৯৮৪ সাল হতে ২০১৯ইং সাল পয্যন্ত রশিদ মূলে নিয়মিত জমির খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। এবং জমিটি ভোগ দখল করতে থাকেন। ৩৫ বছর পর হঠাৎ করে মঙ্গলবার গভীর রাতে শ্রী নাদুরাম সিংহ রায়ের নাতি ও দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের হরি কুমার রায়ের (ছিটালু) ছেলে বাবলু সেন গং একটি ভুয়া তৈরি দলিল মূলে জমিটির দাবিদার হয়ে ওই জমিতে দুটি টিনের চালা তুলে দখল করেন। তারা যে দলিল মূলে জমিটির দাবি করছেন সেই দলিলের নং-১৭০ দেখালেও দলিলে ক্রমিক নং উলেস্নখ নেই। এবং তৎকালীন ডোমার উপজেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বালাম বইয়ে ১৭০ নং দলিলের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বাবলু সেন গংরা পেশিশক্তি খাটিয়ে ওই জমি দখল করে রেখেছে। এ ব্যাপারে আব্বাস আলী সরকার ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরকার বলেন, ক্রয়সূত্রে ওই জমির প্রকৃত মালিক আমরা দুই ভাই। বাবলু সেন একটি ভুয়া দলিল সাজিয়ে রাতের আঁধারে আমাদের জমি দখল করেছে। আমরা ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। আমরা আমাদের জমিটি দখল মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।