আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিভিন্ন যানবাহনে চালকের আসনে অপ্রাপ্তবয়সের কিশোর বসায় বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার হার। যে বয়সে বই-খাতা-কলম নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সেই তাদের হাতে উঠছে গাড়ির চাবি। সংশ্লিষ্টদের মতে আর্থিক সংকট ও পারিবারিক নানা সমস্যার কারণেই এসব কিশোররা অপ্রাপ্তবয়সেই বিভিন্ন পেশায় যোগ দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার চাতুরী চৌমহনী বাজার থেকে ১৪-১৫ বছরের কিশোর সাইফুল সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চট্টগ্রামের মইজ্জ্যারটেকে যাওয়ার জন্য যাত্রী ডাকছিল। কাছে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কথা জানতে চাইলেই তিনি গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। সাইফুলের মতো ১৪ থেকে ১৮ বছরের অনেকেই পিএবি সড়ক দিয়ে কর্ণফুলী মইজ্জ্যারটেক স্টেশন থেকে আনোয়ারা, চাতুরী চৌমুহনী, বন্দর সেন্টার, বটতলী বাজার, জয়কালী হাট, মালঘর বাজার, সত্তার হাট, বাঁশখালী, পেকুয়া, চন্দনাইশ, গাছবাড়িয়া কলেজ গেট, সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এসব অদক্ষ ও প্রশিক্ষণহীন কিশোররা পিএবি সড়কে বাস, ট্রাক, কারসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং করে। এতে করে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জানা যায়, পারিবারিক অস্বচ্ছলতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় এসব কিশোর প্রথমে গাড়ির হেল্পারের কাজ নেয়। কিছুদিন পরেই তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানো শুরু করে। সড়কের এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু-কিশোরদের ব্যবহার কতটুকু বৈধতা রাখে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি রাখা অতিব জরুরি বলে মনে করেন যাত্রীরা।
আনোয়ারার ট্রাফিক ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকদের গাড়ি চালানোর কোনো বিধান নেই। এদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও পাওয়ার কথা না। নতুন আইনে এসব কিশোর চালকদের গাড়ি চালানো নিষেধ। গাড়ির মালিক ও চালদের এক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে তাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদ বলেন, বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কিশোরদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ারও নিয়ম নেই। দ্রম্নতই তাদের বিরুদ্ধে নতুন আইনে অভিযান চালানো হবে।