মুরগির খামারে স্বাবলম্বী আকমল

প্রকাশ | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া কামালপুর গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক আকমল হোসেন ২০০৮ সালে মাত্র ৫০টি লেয়ার মুরগি দিয়ে খামার শুরু করেন। আজকে তার খামারে মুরগির সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এই সাফল্য তাকে এনে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কারসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্মাননা স্মারক। তার খামারে এখন ২০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। তাদেরকে মাসে বেতন দিতে হয় প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। মুরগি চাষে সাফল্যের পর তিনি চীনের উদ্ভাবিত নতুন জাতের হাঁস দিয়ে আরো একটি হাঁসের খামার শুরু করেছেন। নিরন্তর প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রমের মধ্যদিয়ে বেকার শিক্ষিত যুবক আকমল হোসেনের খামার ব্যবসায়ে একের পর এক সাফল্যের পর এলাকায় অন্যান্য যুবকরাও তাকে অনুসরণ করে পোল্ট্রি ব্যবসায় আসতে শুরু করেছেন। এভাবেই দাশুড়িয়ার কামালপুর গ্রামে গ্রামে এখন ৪৫ থেকে ৫০টি মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। আকমল হোসেন জানান, ২০০৮ সালে মাত্র ৫০টি লেয়ার মুরগি দিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন একটি পোল্ট্রি খামার। নাম দেওয়া হয় এ. আর. এস পোল্ট্রি খামার। শুরুতে নিজের ভাইবোনেরা খামারে শ্রমিকের কাজ করতেন। খামারের পরিধি বিস্তৃতি ঘটলে নিজ গ্রামের দক্ষ শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন নিজের ভাইবোন ছাড়াও ২০ জন শ্রমিক তার খামারে কাজ করছেন। এখন তার খামারে মুরগির সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি তিনি চীনে উদ্বাবিত নতুন জাতের আরো একটি হাঁসের খামার দিয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মুরগির বাচ্চা উৎপাদনের জন্য তার একটি হ্যাচারি দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। হ্যাচারি দেওয়া সম্ভব হলে নিজের আর্থিক স্বচ্ছলতা যেমন বাড়বে, তেমনি এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের সম্পর্কে তিনি বলেন, চাকরির পিছনে না ঘুরে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে নিজ উদ্যোগে খামার তৈরি অথবা ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারলে কোনো আর্থিক সংকট থাকবে না। সেই সাথে কেউ আর বেকার থাকবে না।