সিরাজগঞ্জে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছে কৃষক

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

এইচএম মোকাদ্দেস, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে পেঁয়াজ ক্ষেতে নিড়ানি দিচ্ছেন চাষিরা -যাযাদি
দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে ঝাঁঝালো হয়ে ওঠা পেঁয়াজেই আশার আলো দেখছেন সিরাজগঞ্জের পেঁয়াজ চাষিরা। বর্তমান বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এবার পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষক। তাদের স্বপ্ন এবার তারা অধিক মুনাফা পাবেন। তাই বীজের অত্যাধিক মূল্য হলেও পেঁয়াজ চাষ থেকে বিরত রাখতে পারেনি কৃষকদের। শনিবার সদর উপজেলার চর হরিপুর, জগৎগাঁতী এবং কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ি ও পাইকোশা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ চাষিরা চোখ-মুখে ফুটে ওঠা হাসি নিয়ে খেতে নিড়ানি দিচ্ছেন। চর হরিপুর গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, এবার আড়াই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। অক্টোবরের শুরুতে বীজবপন করা হয়েছে। প্রথমদিকে বৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হলেও পরবর্তীতে ভালো ফলন পেয়েছেন। বাজারমূল্যও বেশ চড়া। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি করতে পারলে ভালো মুনাফা পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, এ বছর চড়া দামে বিঘায় প্রায় ৩০ হাজার টাকার বীজ কিনতে হয়েছে। এছাড়া সেচ, চাষ, নিড়ানি বাবদ খরচ হয়েছে আরও ২৫ হাজার টাকা। ভালো দাম পেলে পুঁজি ফেরত পেয়েও মুনাফা হবে। একই এলাকার তোজাম হোসেন, তাহের আলী, নিজাম উদ্দিনসহ অনেকেই বলেন, এ সময় বেশিরভাগই ডাঁটা পেঁয়াজ আবাদ করেন। এটি তোলার পরপরই গুটি পেঁয়াজের বীজবপন করা হয়েছে। জগৎগাঁতী গ্রামের হাফিজুল ও কয়েলগাঁতীর আইয়ুব আলী, আছের উদ্দিন, শাহ আলম, আমজাদ আলী, ছাকাত আলীসহ অনেকেই বলেন, প্রতিবছরই পেঁয়াজ আবাদ করে লোকসান গুনেন। একদিকে বৈরী আবহাওয়ায় উৎপাদন কম অপরদিকে বাজারে ন্যায্যমূল্যের অভাব। এ কারণে এ অঞ্চলে পেঁয়াজের আবাদ কমে যাচ্ছে। তবে এ বছর বাজারমূল্য বেশি থাকায় কৃষকরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন। জেলা কৃষি অভিসের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, জেলায় চাহিদার ৪ শতাংশের এক শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন করেছেন চাষিরা। এ জেলায় ৪১ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে চাষ হয় ১০ হাজার মে. টন। এ বছর পর্যায়ক্রমে এক হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হবে। প্রথম পর্যায়ে তিনশ হেক্টর জমিতে ডাঁটা পেঁয়াজ উৎপাদন করা হচ্ছে। যেটা চলতি মাসে বাজারে আসবে। \হপরবর্তীতে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৭শ হেক্টর জমিতে গুটি পেঁয়াজের বীজ বোনা হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও ভালো ফলন হলে এবার পেঁয়াজ চাষে কৃষক লাভবান হবেন।