শীতকালীন সবজি চাষে সফল মতলবের নুরনবী

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মতলব (চাঁদপুর) সংবাদদাতা
চাঁদপুরের মতলব উপজেলার আদুরভিটি গ্রামে শিমক্ষেত পরিচর্যা করছেন নুরনবী -যাযাদি
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেঙ্গারচর পৌরসভার আদুরভিটি গ্রামের একজন সফল কৃষক নুরনবী। প্রতি বছরই নূরনবী শীতকালীন সিম, ফুলকপি, লালশাক, ধনেপাতা, মুলা, বেগুন, টমেটো ইত্যাদি শীতকালীন সবজি চাষ করে থাকেন। এ বছরও তিনি শীতকালীন এসব সবজি চাষ করেছেন। এতে তিনি লাভের মুখ দেখেন। বর্গা জমিতে সিম চাষ করে জীবন-জীবিকায় সচ্ছলতা এসেছে। সাফল্য দেখে স্থানীয় কয়েকজন কৃষক তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সিম চাষসহ অন্যান্য শীতকালীন আবাদে ঝুঁকছেন। চলতি মৌসুমে নুরনবী ৮৫ শতাংশ জমিতে সিম আবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে সিম ধরা শুরু করেছে। বাজারে বিক্রি করে লাখ টাকা লাভের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। বর্গা জমিতে সিম চাষ করে জীবন-জীবিকায় সচ্ছলতা এসেছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেড়েছে তার চাষের হার। সরেজমিনে উপজেলা ছেঙ্গারচর বাজার-উপজেলা পরিষদ রোড মেইন রাস্তার পাশে তার সিম খেতে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সিম ক্ষেত। নূরনবী সিম খেতে কীটনাশক ছিটাচ্ছেন। কোনো কোনো গাছে ইতোমধ্যেই ফুটেছে সিমের ফুল। আবার কোনো গাছে সিম ধরাও শুরু করেছে। তাই ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুধু সিম নয়, পাশাপাশি একই জমিতেই লাল শাক, মুলা শাক ও পাট শাক আবাদ করে বিঘাপ্রতি আয় করছেন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। নুরনবী জানান, এর আগে অন্যের ৮৫ শতাংশ জমি ১০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে সিম চাষ করেছেন। এতে খরচ বাদ দিয়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়। এ বছরও ৮৫ শতাংশ জমি নিয়ে সিম চাষ করেছেন। এ পর্যন্ত কীটনাশক ও বদলি মিলে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সিম তোলা পর্যন্ত আরও ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। ক্ষেত রোগমুক্ত ও আবহাওয়া অনুকূলসহ ভালো দাম থাকলে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার সিম বিক্রি করা যাবে। খরচ বাদ দিলে বিঘাপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন জানান, চাষিদের সিম ও বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ করা ও সহযোগিতা দেয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি বেগুন ও সিম চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে আগাম সিম চাষ হয়েছে। এতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।