কাশিয়ানী ও কটিয়াদিতে দুই যুবক খুন

তিন জেলায় আরও চার লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
দেশের চার জেলায় পৃথক ঘটনায় দুই যুবক খুন ও চার লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক কাঠমিস্ত্রিকে কুপিয়ে ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। এছাড়া কুষ্টিয়া, বগুড়া ও সুনামগঞ্জে চার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা পাঠানো খবর: গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ফিরোজ মোল্যা (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ভোর রাতে কাশিয়ানী উপজেলার এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত ফিরোজ মোল্যা কাশিয়ানী উপজেলার চর পিঙ্গলীয়া গ্রামের মৃত আলেব মোল্যার ছেলে। সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। কাশিয়ানী থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, শনিবার ভোর রাতের দিকে ফিরোজ মোল্যাকে কে বা কারা কুপিয়ে হত্যা করে কাশিয়ানী এম. এ খালেক ডিগ্রি কলেজ মাঠে ফেলে রেখে যায়। সকালে ওই মাঠের মধ্যে ফিরোজ মোল্যার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের মাথা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। তবে হত্যাকান্ডের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মোবাইল ম্যাসেঞ্জারে চ্যাটিংকে কেন্দ্র করে সাদ্দাম হোসেন (২৬) নামে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃতুূ্যবরণ করেন। সাদ্দাম হোসেন উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের ভিটিপাড়া গ্রামের পূর্বপাড়ার মহলস্নার আজিম উদ্দিন আরজু মিয়ার পুত্র। তিনি পেশায় আকিজ গ্রম্নপের পাকুন্দিয়া উপজেলার এসআর ছিলেন। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে সাদ্দাম হোসেন কর্মস্থল হতে ওয়াজ মাহফিল হয়ে বাড়ি ফেরার পথে ভিটিপাড়া গ্রামে শাহাদাত হোসেন রাজিব তার সহযোগীদের নিয়ে সাদ্দামের গতিরোধ করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাকিব ধারালো ছুরি দিয়ে সাদ্দামের পেটে ও দুই পায়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্বজনরা আহত সাদ্দামকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে সাদ্দাম মৃতু্যর কোলে ঢলে পড়েন। কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার মিরপুরে আনজেরা খাতুন (২৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া ক্যানেলপাড়ার বাসিন্দা স্বামী নজরুল ইসলাম ওরফে নজুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আনজেরা নজরুলের প্রথম স্ত্রী বলে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন আনজেরা। অন্যদিকে জেলার ভেড়ামারা রেলওয়ের পূর্ব পস্নাটফর্মে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ভেড়ামারা থানা সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ভেড়ামারা রেলওয়ের পূর্ব পস্নাটফর্মে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। আনুমানিক ৬০ বছর বয়স্ক দুস্থ এই ব্যক্তি অসুস্থতা ও রাত্রিকালীন ঠান্ডাজনিত কারণে মারা যেতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সোনাতলা (বগুড়া): বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুলস্না ইউনিয়নের দরিহাসরাজ গ্রামে বাঙ্গালী নদীর ধার থেকে অজ্ঞাত (২৩) এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার সন্ধায় স্থানীয় লোকজন উক্ত স্থানে অজ্ঞাত ওই নারীর মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। এ সংবাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে প্রেরণ করে। থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুলস্নাহ আল মাসউদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ফেলে যেতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত ওই নারীর কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর নিখোঁজের ৪ দিন পর স্টুডিও মালিক ফটোগ্রাফার আনন্দ সরকারের (২৩) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার উপজেলার পৌর শহরের সি/এ মার্কেট বাসস্ট্যান্ড এলাকার কামাল কমিউনিটি সেন্টারের মার্কেটে তালাবদ্ধ স্টুডিও দোকানের ভেতর থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ফটোগ্রাফার আনন্দ সরকার (২৩) নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাইনারী ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের সুণীল চন্দ সরকারের ছেলে। এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) মো. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী জানান, আনন্দ সরকারকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি তার গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।