মির্জাপুরে ছয় গ্রামবাসীর ভরসা ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের পাকুল্য পশ্চিম পাড়া খালের ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকোর ভগ্নদশা -যাযাদি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্য পশ্চিম পাড়া খালের ওপর নির্মিত একটি কাঠের সাঁকোই ছয় গ্রামের মানুষের প্রধান ভরসা। কিন্তু বর্তমানে সাঁকোর এক অংশ ভেঙে যাওয়ায় সেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও এ সাঁকো পার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছে বলে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানিয়েছেন। কাঠের সাঁকোটি জামুর্কী ইউনিয়ন পরিষদ প্রায় এক বছর আগে নির্মাণ করে। সাঁকো দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছে পার্শবর্তী দেলদুয়ার উপজেলার মৈষ্টা, আর মৈষ্টা, কামান্না, কামান্না চরপাড়া, বড়মৈষ্টা, জামুর্কী ইউনিয়নের চরপাকুল্যা এবং বাদ্যগরপাড়ার কয়েক হাজার মানুষ ও কোমলমতি শিক্ষার্থী। পাকুল্যা-দেলদুয়ার পাকা সড়ক থাকলেও ওই গ্রামের মানুষ কম সময়ে এবং কম দূরত্বের কারণে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাটিয়াচোরা শিবনাথ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সাটিয়াচেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দু-একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীরা ওখান দিয়ে যাতায়াত করছে। বর্তমানে সাঁকোটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় ওই খাল হয়ে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকুল্যা বাজারের ব্যবসায়ী তপন শেট বলেন, ভাঙা কাঠের সাঁকো দিয়ে লোকজনসহ শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে দেখে খুবই কষ্ট লাগে। তাদের কষ্ট লাঘবে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার। জামুর্কী ইউপি চেয়ারম্যান আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল বলেন, উপজেলা পরিষদের সভায় সহযোগিতার জন্য প্রস্তাব ও স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এমপি বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন বলে তিনি উলেস্নখ করেন।