আত্রাইয়ে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর আত্রাইয়ে লেপ তৈরির কাজ করছেন এক কারিগর -যাযাদি
ভোরের কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল আর সবুজ ঘাসের ডগায় ছড়িয়ে পড়া শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। সেই সঙ্গে নওগাঁর আত্রাইয়ে পালস্না দিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শীত নিবারণের উপকরণ লেপ-তোষক তৈরি। উপজেলা সদরসহ প্রতিটি এলাকার কারিগররা শীত জেঁকে বসার আগেই এখন লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কনকনে শীত জেঁকে বসার আগেই তা মোকাবেলায় অধিকাংশ কারিগর ও পাড়া-মহলস্নার মানুষ বাড়িতে বাড়িতে লেপ-তোষক তৈরি করছে। দিন যতই গড়াচ্ছে শীত ততই বেশি পড়ার আশংকায় উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষেরা নতুন নতুন লেপ তৈরি করছে। কারিগররা শীতের সঙ্গে পালস্না দিয়ে অর্ডার নিলেও যথাসময়ে সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। উপজেলার বান্ধাইখাড়া, আহসানগঞ্জ, মির্জাপুর-ভবানীপুর হাট, নওদুলি বাজারের শোরুমের ফাঁকা জায়গায় ক্রেতাদের উপস্থিত আর কারিগরদের ধুনুক দিয়ে তুলা ফাটানোর সরগরমই যেন বলে দিচ্ছে লেপ-তোষক তৈরির ধুম পড়েছে। আগমনী শীতের কারণে তুলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পার্শ্ববর্তী রানীনগর উপজেলার ত্রিমোহনী এলাকায় পাঁচটি তুলার মিল উৎপাদিত মানসম্পন্ন তুলা দোকানিদের কাছে সরবরাহ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি শিমুল তুলা ২৭০ টাকা থেকে ২৯০ টাকা, মিলের তুলা ৪৫ টাকা, কারপাস ১৫০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রেণি ভেদে দাম মিল মালিকেরা বেশি নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভবানীপুর বাজারের লেপ-তোষক তৈরির কারিগর ছাইদুল ইসলাম জানান, পার্শ্ববর্তী উপজেলায় তুলার মিল স্থাপনের পর থেকে আমাদের ব্যবসার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলা, কাপড়, সুতা ও অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪-৫ হাত মাপের মিলের তুলা দিয়ে তৈরি লেপ ১ হাজার ৫০ টাকা এবং তোষক ৮৫০ টাকার মত খরচ পড়ে। কারিগরা বলছেন, আমাদের তেমন লাভ না হলেও পেশার তাগিদে এ কাজ করে আসছি।