দামুড়হুদায় বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মাঠে এখন চাষিরা বোরো ধানের বীজতলা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ সময় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৃষকদের মাঠে বীজতলা তৈরি করতে দেখা যাচ্ছে। ভালো বীজতলা করতে পারলে মিলবে ভালো চারা। তাই কৃষকরা খেয়ে না খেয়ে বীজতলার কাজ করছেন। অগ্রহায়ণ মাস বোরো ধানের বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। রোদ পড়ে এমন উর্বর ও সেচ সুবিধাযুক্ত জমি বীজতলার জন্য নির্বাচন করে চাষিরা। চাষের আগে প্রতি বর্গমিটার জায়গার জন্য ২-৩ কেজি জৈব সার দিয়ে ভালোভাবে জমি তৈরি করে। জমিতে চাষ দিয়ে কাদা করে এক মিটার চওড়া ও দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বাভাবে ভেজা বীজতলা তৈরি করে ধানের বীজ ছিটায়। বীজ বপনের আগে ৬০-৭০ ঘণ্টা জাগ দিতে হয়। এ সময় ধানের অঙ্কুর গজাবে। অঙ্কুরিত বীজ বীজতলায় ছিটিয়ে বপন করতে হয়। প্রতি বর্গমিটার বীজতলার জন্য ৮০-১০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। অতিরিক্ত ঠান্ডায় চারা যাতে নষ্ট না হয় তাই কৃষকরা রাতে চারার ওপর পলিথিন বা কলার পাতার ছাউনি দিয়ে ঢেকে দেয়। এতে চারা নষ্ট হয় না। পরদিন সকালে রোদ দেখা দিলে ছাউনি সরিয়ে রাখে রোদ লাগার জন্য। বীজতলার চারা যেন হলুদ ও পাতাঝলসানো রোগে আক্রান্ত না হয় তাই কৃষক ইউরিয়া ও জিপসাম সার দিয়ে থাকে। বীজতলা থেকে চারা তোলার এক সপ্তাহ আগে কীটনাশক দেয়। এতে বীজতলার চারা পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়।