কালাই স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে

চিকিৎসক সঙ্কটে সেবা ব্যাহত

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

কালাই (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা
জয়পুরহাটের ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসক সঙ্কটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। রোগীদের অভিযোগ, এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের প্রতিদিন দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এ হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে প্রতিদিনই গড়ে ৭৫ জন রোগী ভর্তি থাকেন। আর বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে চারশ' জন রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এক যুগ আগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজে এসে ৩১ শয্যার কালাই স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন। সে সুবাদে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটিতে চিকিৎসকের পদ সংখ্যা হয় ২৬টি। এ পদগুলোর বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন পাঁচজন চিকিৎসক। তারা হলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একজন, মেডিক্যাল অফিসার একজন, ডেন্টাল সার্জন একজন, সহকারী সার্জন অথবা মেডিকেল অফিসার দুইজন। কর্মরত এ পাঁচজন চিকিৎকের মধ্যে তিনজন চিকিৎসককে শুক্রবার ব্যতীত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়; অন্য দু'জনকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টাই কর্মস্থলে ব্যস্ত থাকতে হয়। এ অবস্থায় দ্রম্নত শূন্য পদগুলো পূরণ করা না হলে এ সঙ্কট আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা ভুক্তভোগী উপজেলার থুপসাড়ার মহলস্নার শাহানাজ পারভীন, সুফিয়া বেগম হারুঞ্জা গ্রামের মঞ্জুয়ারাসহ অনেকে জানান, চিকিৎসক কম বলে এখানে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ছোট সন্তান কোলে নিয়ে এসেছেন, কেউবা বয়স্ক মানুষ। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে তাদের ভোগান্তি চরমে ওঠে বলে তারা জানান। চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা মণিষ চৌধুরী জানান, এ হাসপাতালের আবাসিক এলাকা আগে অপরিচ্ছন্ন ও অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল। কিন্তু বর্তমানে এর পরিবেশ অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও আগাছা মুক্ত। কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিক আহমদ জেবাল (বাপ্পি) জানান, চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে, একই সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইনডোর, আউটডোর এবং ইমার্জেন্সি বিভাগের রোগী দেখতে হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হয়। সবদিক সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। শূন্য পদগুলোর বিপরীতে চিকিৎসক থাকলে তারা থাকতেন চাপমুক্ত; রোগীরাও পেতেন বেশি বেশি সেবা।