এবার দেশি গরুর দখলে সাপাহারের পশুর হাট

প্রকাশ | ১৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

সাপাহার (নওগঁা) প্রতিনিধি
সাপাহার পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় Ñযাযাদি
সীমান্ত এলাকা দিয়ে এবার ভারতীয় গরু আমদানি না হওয়ায় আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নওগঁার সাপাহার উপজেলার পশুর হাটগুলোতে খামারিদের দেশি গরুর বিপুল সমাহার দেখা গেছে। একাধিক খামারি জানান, এবার ভারত থেকে গবাদি পশু না আসায় খামার মালিকগণ তাদের পোষা গবাদি পশু বিক্রি করে অধিক লাভের মুখ দেখছেন। বিগত বছরগুলোতে সাপাহার উপজেলার হাপানিয়া, কলমুডাঙ্গা, আদাতলা, বামনপাড়া, সুন্দরইল, সোনাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ও বৈধ পথে ব্যাপক হারে ভারতীয় গবাদি পশু বাংলাদেশে আমদানি করা হতো। কিন্তু চলতি মৌসুমে ভারতীয় গবাদি পশুর আমদানি না থাকায় উপজেলার পশুর হাটগুলোতে স্থানীয়ভাবে পালিত দেশি গরুর ব্যাপক আমদানি হয়েছে। স্থানীয় হাটগুলোতে ক্রেতাসাধারণ তাদের সাধ্যের মধ্যে পছন্দমতো কোরবানির জন্য গরু, ছাগল ও ভেড়া ক্রয় করতে পারছেন। এদিকে ভারতীয় গবাদি পশুর এবার আমদানি আশানুরূপ না হওয়ায় ক্রেতাদের বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে দেশি পশু ক্রয় করতে হচ্ছে। তারপরেও গত বছরের তুলনায় এবার হাটে গবাদি পশুর দাম অনেকটা কম রয়েছে। ক্রেতারা বলছেন, গত বছর যে গরুটি ১ লাখ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে তা এবার ৭৫/৮০ হাজার টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় গবাদি পশুর আমদানি না থাকায় এবার খামারিরা তাদের পোষা গবাদি পশুর মোটামুটি ভালো দাম পাচ্ছেন। স্থানীয় খামারিদের আশঙ্কা, কোরবানির ঈদ আসতে এখনও বেশ কয়েক দিন বাকি থাকায় উপজেলার হাপানিয়া, কলমুডাঙ্গাসহ বিভিন্ন সীমান্তের চিহ্নিত চোরাকারবারিরা বেশ তৎপর রয়েছে। তারা যেকোনো সময় উল্লিখিত সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় গবাদি পশুর আমদানি ঘটাতে পারে। ফলে দেশি গরু তখন কম দামে বিক্রি করতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়তে হবে স্থানীয় খামারিদের। গত মঙ্গলবার উপজেলার উমইল, বৃহস্পতিবার মিরাপাড়া দিঘিরহাট ও শনিবার সাপাহার সদর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতা ও দেশি গবাদি পশুর বিপুল সমাহারে হাটগুলো বেশ জমে উঠেছে। হাটগুলোতে অসংখ্য গবাদি পশু ও ক্রোতা বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। হাটের কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। ফলে অনেকে কোরবানির পশুর হাটে ঢুকতে না পারায় সেগুলোকে রাস্তায় বিক্রি করতে হয়েছে। এদিকে রাজধানীর গাবতলী থেকে আগত নুর আলম, চট্টগ্রামের আব্দুল কাদের, সিলেটের রাজ্জাক, সিরাজগঞ্জের আবুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ী জানান, সাপাহারের হাটগুলো থেকে গবাদি পশু কিনে তারা প্রতি বছর নিজ এলাকায় কোরবানির হাটে বিক্রি করে থাকেন। এতে তাদের অনেক মুনাফা হয়। এবারেও তারা গরু কেনার জন্য হাটে এসেছেন। বতর্মানে উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটে সবোর্চ্চ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে সবির্নম্ন ৩০/৪০ হাজার টাকায় কোরবানির পশু কেনা-বেচা হচ্ছে। হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে ও জাল নোট শনাক্তে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট হাটের ইজারাদারগণ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।