মহাদেবপুরে কলা চাষে কৃষকদের ভাগ্য বদল

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নওগাঁর মহাদেবপুরে কলাচাষে ভাগ্য বদল হচ্ছে কৃষকের -যাযাদি
মহাদেবপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা নওগাঁর মহাদেবপুরে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলা চাষ। উপজেলার অর্থকরী ফসল হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে কলা। আর এ কলা চাষে ভাগ্য বদল হচ্ছে চাষিদের। যেখানে অন্যান্য ফসল করে লাভবান হতে পারছে না স্থানীয় চাষিরা সেখানে কলাচাষ সফলতার হাসি এনেছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে কলা বাগানের সংখ্যা। একরের পর একর কলা বাগান করে বছর শেষে মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করতে পারায় স্থানীয় অনেক যুবক পেশাও বদলাচ্ছেন। গত বছর কলার দামে খুশি না হলেও এবার কলার দামে চাষি-ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২২০ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলা চাষ হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, বিস্তৃত জমিতে কলার বাগান। পরিচর্যায় ব্যস্ত মালিক-শ্রমিকরা। চাষযোগ্য জমির পাশাপাশি পতিত জমিতে করা হয়েছে অসংখ্য বাগান। আর কলা চাষে সফলতার মুখ দেখেছেন চাষিরা। কৃষকরা জানায়, অন্য যেকোন ফসলের চেয়ে অনেক বেশি লাভ হয় কলা চাষে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উপজেলায় মানিক, চিনিচাম্পা, চাঁপা, অনুপম, মেহের সাগরসহ বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলাগাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফসলের চেয়ে কলার দামও বেশি। সাধারণত বৈশাখ মাসে চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সেসব জমিতে কলা চাষ ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে জাতভেদে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ চারা রোপণ করা হয়। এতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও বিক্রি হয় ৭০-৮০ হাজার টাকার। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব নয়। উপজেলার সফাপুর গ্রামের কৃষক কালাম বলেন, কলা চাষে লাভের পালস্নাই ভারী থাকে। গাছ লাগানো থেকে শুরু করে ১১ মাসের মধ্যে কলা কাটা যায়। বর্তমানে এক কাঁদি কলা উৎপাদন করতে প্রায় ৯০-১০০ টাকা খরচ হয়। একই গ্রামের কৃষক তারেক বলেন, প্রকার ভেদে ২২-২৫ হাজার টাকা দরে প্রতি ১০০ কলার কাঁদি বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা কলা চাষ করছেন। কলা চাষে কৃষি বিভাগ চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।