কালাইয়ে ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে লোকসানে কৃষক

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

কালাই (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা
জয়পুরহাটের কালাইয়ে ধানের বাজার মন্দা হওয়ায় লোকসান গুনছেন কৃষকরা। উৎপাদিত ধান বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে তারা ধার-দেনা এবং ব্যাংক ও এনজিওর ঋণ শোধ করতে পারছেন না। এর প্রভাবে আলু, সরিষা ও গম চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। আড়তদার ও চাতাল ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার লটারির মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনছেন। কিন্তু তা অপ্রতুল। সরকার আরও বেশি পরিমাণ ধান কিনলে, বাজারে এর প্রভাব পড়বে। উপজেলার দুধাইল গ্রামের কৃষক জাহেদুল ও ওয়াসিম, সারুঞ্জার মিজানুর ও সাজ্জাদুল, কাশিপুরের মোজেল, টাকাহুতের সামছুল, নওপাড়ার তাজুল, থুপসাড়ার আব্দুল জলিল, ভাটাহারের খয়বরসহ অনেকে জানান, তারা মামুন ধান ৬২০ থেকে ৬৩৫ ও স্বর্ণা ধান ৬৬০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। এতে উৎপাদন খরচই উঠছে না। সীমিত এ টাকায় তারা কিভাবে ধার-দেনা শোধ করবেন; কিভাবে আলু, সরিষা বা গম চাষাবাদ করবেন, সংসার খরচই কিভাবে চালাবেন- তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। মোসলেমগঞ্জ বাজারের আড়তদার রবিউল, সোহেল রানা এবং আমির হামজা জানান, তাদের প্রত্যেকের আড়তে অন্তত ৪ হাজার মণ আমন ধান কেনা আছে। বাজারে ধানের মূল্য কম। উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির তালুকদার জানান, প্রতি আমন মৌসুমেই সরকারের ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা থাকে কম। তবে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়লে বাজারও বাড়বে বলে তিনি বিশ্বাসী।