মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

নবজাতক গায়েব:দুই নাসর্ বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যশোর প্রতিনিধি
যশোরের মণিরামপুর হাসপাতালে অজ্ঞাতপরিচয় এক প্রসূতির গোপনে সন্তান জন্মদান (ডেলিভারি) এবং নবজাতককে গায়েব করে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাসর্ ও আয়ার সহযোগিতায় পরে পালিয়ে গেছে প্রসূতি মা-ও। মঙ্গলবারের এই ঘটনা সংশ্লিষ্ট নাসর্ ও আয়া চেপে যাওয়ার চেষ্টা করলেও প্রত্যক্ষদশীর্ রোগী ও সিসিটিভির ফুটেজের কারণে বুধবার তা ফঁাস হয়ে গেছে। পরে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ অভিযুক্ত দুই নাসের্ক সাময়িক বরখাস্ত ও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তবে এখনও নবজাতককে উদ্ধার বা প্রসূতি মায়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কমর্কতার্ ডা. আব্দুল গফ্ফার জানান, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত নাসর্ হ্যাপী রায় ও ঝরনা রানীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডা. রাজীব কুমার পালকে প্রধান করে সিনিয়র নাসর্ নাজমা ও প্রধান অফিস সহকারী গণেশ মÐলকে সদস্য করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেয়া হয়েছে। এরপর দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাসর্ ঝরনা জানান, নবজাতককে বঁাচাতে তিনি কয়েকবার দুধ পান করিয়েছেন। তার এক নিঃসন্তান আত্মীয় বাচ্চা চাইছিল। আয়া কাকলি ফোন করে বাচ্চা নেয়ার জন্য ডাকলে সেখানে তিনি যান। আর আয়া কাকলি সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, নবজাতককে হাসপাতালে পেয়ে নাসর্ ঝরনাকে খবর দেয়া হয়। অপর নাসর্ হ্যাপী ক্ষেপে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, না জেনেশুনে কোনো কথা বলবেন না। নবজাতককে হাসপাতালের লেবার রুমে পাওয়া গেছে। এরপরই তিনি ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাজীব কুমার পাল বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে তখনকার দায়িত্বরত নাসর্ নাজমা বিষয়টি তাকে অবহিত করেন। লেবার রুমে গিয়ে সাত মাস বয়সী নবজাতকের চিকিৎসা করি। নাসর্ হ্যাপী রায়, ঝরনা ও আয়া কাকলি নবজাতককে নিয়ে যায়। এরপর নবজাতকের আর কোনো হদিস পাননি তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কমর্কতার্ ডা. আব্দুল গফ্ফার বলেন, এ ধরনের অপরাধ মেনে নেয়া যায় না। ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যশোর সিভিল সাজর্ন ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ইতোমধ্যে বিভাগীয় প্রধান নাসর্ নাছিমা খাতুনকে তলব করা হয়েছে। তাকে দিয়ে তদন্তের পাশাপাশি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কমর্কতার্ ডা. আব্দুল গফ্ফারকে আগামী শনিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেয়া হয়েছে।