ক্রেতাদের চাহিদা দেশি গরু

জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
ফরিদপুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট Ñযাযাদি
ঈদের আর কয়েকদিন বাকি। শেষ মুহ‚তর্ জমে উঠেছে দেশের বিভিন্ন স্থানের কোরবানির পশু হাট। প্রতিনিধি এবং সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : ফরিদপুর : ফরিদপুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতে জমে উঠেছে এবারের কোরবানির পশুর হাটগুলো। তবে ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি সাইজের দেশি গরুর প্রতি। ফরিদপুর শহরের সবর্বৃহৎ টেপাখোলা গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে এই চিত্র। বাজারে অন্যবারের তুলনায় গরুর দাম কিছুটা কম দেখা গেছে। তবে বিক্রেতা ও ক্রেতারা উভয়েই বলেছেন, আগামী ২১ আগস্ট (ঈদের আগের দিন) সবের্শষ হাটগুলো কেনা-বেচা বেশি হবে। তাদের প্রত্যাশা, ওই হাটে বেচা-কেনা আরও ভালো হবে। শহরের পশ্চিম আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা শেখ জলিল জানান, গরুর হাটের হাবভাব দেখতে এসেছি। ঈদের আগের দিন আরেকটি হাট পাব। সেদিন কিনব। তিনি জানান, ঈদের এত আগে থেকে গরু কিনে রক্ষণাবেক্ষণ করা কঠিন। সাধারণ ক্রেতারা গরু কম কিনলেও ছোট ছোট বেপারিরা গরু কিনছেন প্রচুর। ঢাকার দোহার এলাকা থেকে এসেছেন মো. শাহজাহান। তিনি জানান, তিনি সাতটি গরু কিনেছেন আট লাখ টাকা দিয়ে। এই গরু ট্রলারে করে ঢাকায় নিয়ে ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন। এদিকে পশুর হাটে পশুর স্থাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভ্রামমাণ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তত্ত¡¡াবধানে এই মেডিকেল টিম কাজ করছে প্রত্যেকটি পশুর হাটে। ঝিনাইদহ : শেষ মুহ‚তের্ জমে উঠেছে ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকার ২৭টি কোরবানির পশু হাট। ভালো দামে নিজের কষ্টে পালিত গরু বিক্রি করতে যেমন হাটে ভিড় করছেন বিক্রেতারা, তেমনি পছন্দের গরুটি কিনতে আগ্রহের কমতি নেই ক্রেতাদের। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, জেলার ভাটই, গাড়াগঞ্জ, শৈলক‚পা, খালিশপুর, এলাঙ্গী, বারোবাজার, হরিণাকুÐ, ডাকবাংলো, মধুপুর, গোয়ালপাড়া, মধুহাটি এবং সাধুহাটির গো-বাজারগুলোই সবচেয়ে বড় পশুর হাট। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের ভিড়ে জমজমাট এই পশু হাটগুলো। দেখে শুনে মোটাতাজা গরু কিনতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। হাট ঘুরে দেখে নিধাির্রত বাজেটের মধ্যে গরু কিনছেন ক্রেতারা। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর সরবরাহই বেশি। ৪০ হাজার টাকা থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যেই মিলবে পছন্দের গরু। শৈলক‚পা বাজারে গরু কিনতে আসা উপজেলার কঁাচেরকোল গ্রামের শাহিন হোসেন জানান, গরুর দাম এ বছর স্বাভাবিকই রয়েছে, তেমন দাম বাড়েনি। হাটে আগত কয়েকজন ক্রেতা জানান, দাম এবার খুব বেশি না। তবে পশু হাটের সব থেকে ভালো দিক হচ্ছে ঝিনাইদহের গরুগুলো স্বাভাবিকভাবেই মোটাতাজা করা হয়েছে। এখন পযর্ন্ত ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ ও সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকায় এ বছর ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন ঝিনাইদহের খামারিরা। মিজার্গঞ্জ (পটুয়াখালী) : মিজার্গঞ্জ উপজেলা সদরস্থ সুবিদখালী গরুর হাটসহ ছয়টি ইউনিয়নের আটটি গরুর হাটে কোরবানির পশুর বেচাকেনা জমজমাট হয়ে উঠেছে। কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়ে দেখা যাচ্ছে। কোরবানির জন্য গরু-ছাগল ক্রেতাদের চাহিদার তুলনায় ভালোমানের গরু বেশি উঠছে হাটগুলোতে। ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি কোরবানির জন্য এসব পশুর দাম অনেক কম থাকায় ক্রেতারা পশু কিনছে মহাআনন্দে। দুপচঁাচিয়া (বগুড়া) : দুপচঁাচিয়া উপজেলার তালোড়ায় পৌরসভার আয়োজনে অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাট জমে উঠেছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে তালোড়া রেলস্টেশন এলাকায় পৌরসভার এই অস্থায়ী হাটে প্রায় ১৬ দিন পূবর্ থেকে সপ্তাহে দুইদিন গরু-ছাগল বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সপ্তাহের দুইদিন শনি ও বুধবার হাটবারে এই পশুর হাট বসে। প্রথম দিকে এই হাটে তেমন বেচাকেনা না হলেও বতর্মানে বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। আগের হাটের চেয়ে গত বুধবার হাটে গরু ও ছাগল যেমন বেশি উঠেছিল, তেমনি বেচাকেনাও হয়েছে প্রচুর। গরুর পাশাপাশি ছাগলও এই অস্থায়ী পশুর হাটে বেচাকেনা ভালোই হয়েছে। সোনাতলা (বগুড়া) : ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতে জমে উঠেছে বগুড়া সোনাতলায় সবচেয়ে বড় ভেলুরপাড়া কোরবানি পশুর হাট। হাট কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাফিজার রহমান পান্না জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসলে বিখ্যাত এই হাটে দূর-দূরান্ত থেকে শত শত গরু, ছাগল ও মহিষ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় জমায়। এ বছর গরুর দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই খুশি। প্রতি সোম ও শুক্রবার এই হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হয়।