দুপচঁাচিয়া-তালোড়া সড়কের বেহাল দশা, চরম ভোগান্তি

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

দুপচঁাচিয়া (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়ার দুপচঁাচিয়া-তালোড়া সড়কটির বেহাল অবস্থা। মাত্র সাত কিলোমিটারের গোটা সড়কটি খানাখন্দে ভরা। উপজেলার তালোড়ায় রেলস্টেশন, ধান-চালের ব্যবসা ও অ্যালুমিনিয়াম তৈজস তৈরির কলকারখানা হিসেবে পরিচিত। ফলে এ সড়কটি যানবাহন চলাচলে সাবর্ক্ষণিক ব্যস্ত থাকে। কিন্তু সড়কটির কোনো সংস্কার না থাকায় যানবাহন চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত আর লোকজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বগুড়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়া-রাজশাহী সড়কের নন্দীগ্রামের ওমরপুর থেকে তালোড়া-দুপচঁাচিয়া হয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পযর্ন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীঘর্ এ সড়ক। সড়কটি মেরামতের জন্য কয়েকবার সামান্য বরাদ্দ এলে তা নন্দীগ্রাম এলাকার আংশিক মেরামতের কাজ করা হয়। গত কয়েক মাস আগে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুপচঁাচিয়া সদরে দেড় কিলোমিটার মেরামতের কাজ করা হয়েছে। তালোড়া-দুপচঁাচিয়া সড়কটিতে সাবর্ক্ষণিক ভারী যানবাহন চলাচল করার কারণে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালোড়া থেকে দুপচঁাচিয়া সাত কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে বড় বড় গতর্ হয়েছে। তালোড়া বাজার, তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে, তালোড়া চৌধুরীপাড়া, লাফাপাড়া, পলিপাড়া, পদ্মপুকুর, লালুকার সেতুর কাছে সড়কটির বেহাল অবস্থা। স্থানীয়ভাবে পৌরসভা ইট ও ব্যাটস (ইটের গুঁড়া) দিয়ে সড়কটি চলাচলের ব্যবস্থা করলেও বষার্র শুরু থেকে গোটা সড়কে খানাখন্দে পানি দিয়ে আরও গতর্ হয়েছে। ভারী যানবাহন ঝঁুকি নিয়ে ধীরে ধীরে চলাচল করছে। একসঙ্গে দুটি যানবাহন পারাপার হতে বেকায়দায় পড়তে হয়। তবে এদিন দুপুরে দুপচঁাচিয়া-তালোড়া সড়কে চলাচলকারী ইজিবাইক চালকদের ওই সড়কের আলোহালী ব্রিজ আমবাগান এলাকায় কয়েকটি বড় বড় গতের্ ইট দিয়ে ভরাট করতে দেখা গেছে। তালোড়া পৌরসভার মেয়র আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তায় পৌরসভার কাজ করার বিধান নেই। রাস্তাটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে।’ বগুড়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানান, ‘দুপচঁাচিয়া-তালোড়া সড়কের সংস্কারের কাজ বষার্ মৌসুমের পরেই শুরু হবে। তবে সাময়িকভাবে যানবাহন ও যাত্রীদের দুভোর্গ লাঘবে ওই সড়কের গতর্গুলোতে ইট দেয়া হবে।