নারায়ণগঞ্জ ও হবিগঞ্জে তিন শিশুর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্বদেশ ডেস্ক নারায়ণগঞ্জ ও হবিগঞ্জে তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার নারায়ণগঞ্জে দুই ও হবিগঞ্জে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :  নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের নিখোঁজের তিনদিন পর একটি পুকুর থেকে মো. শামীম (৮) ও মনির হোসেন (৭) নামে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। সোমবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের বার্মাস্ট্যান্ড এলাকার কবরস্থান পাশের একটি পুকুর হতে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করে। নিহত মো. শামীম কুমিলস্নার ভাঙ্গুরা থানার দক্ষিণ বাঙ্গুরার বাসিন্দা রবিউল আলমের ছেলে ও মনির হোসেন রংপুরের গঙ্গাচরার পাইখান চওরা খোলার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে জব্বারের ছেলে। তাদের উভয় পরিবার সিদ্ধিরগঞ্জের এসওরোড এলাকার বাদশা মিয়ার ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছে। মৃত শামীম ও মনিরের পিতা অটো রিকশা চালক। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে বার্মাস্ট্যান্ড এলাকার কবরস্থানের পাশের একটি পুকুরে দুই শিশুর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক হাফিজুর রহমান রাজিব ওই পুকুর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক জানান, ধারণা করা হচ্ছে গত শুক্রবার শিশু মো. শামীম ও মনির গোসল করতে পুকুরে নামলে পানিতে ডুবে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। শিশু নিখোঁজের ঘটনায় এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়ের (জিডি) করেন। তিনি আরো জানান, উদ্ধার হওয়া শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই। তবুও লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃতু্যর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ সদর উপজেলার চরহামুয়া এলাকায় নিখোঁজ হওয়ার ৩ দিন পর খোয়াই নদী থেকে মো. ইসমাইল হোসেন বিদয় নামে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এক কিশোরকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী ও এসআই মো. আবু নাঈম মিয়াসহ পুলিশ সদস্যরা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ইসমাইল সদর উপজেলার উত্তর তেঘরিয়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী ফারুক মিয়ার ছেলে ও তেঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। থানায় আটক সায়মন মিয়া (১৪) ওই এলাকার আব্দুস শহীদের ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ১০ জানুয়ারি বিকালে বিদেশ থেকে বাবার পাঠানো দামি মোবাইল নিয়ে নাটকের দৃশ্য তৈরির কথা বলে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি ইসমাইল। পরদিন তার পরিবারের পক্ষ থেকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পত্রিকায় হারানো বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। এক পর্যায়ে সোমবার খোয়াই নদীতে তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু নাঈম মিয়া বলেন, মরদেহের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি হত্যাকান্ড। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।