আক্কেলপুরে তুলসীগঙ্গার পানির কালচে রং ধারণ মরছে মাছ

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) সংবাদদাতা জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের সোনামুখী সেতু থেকে দক্ষিণে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত তুলসীগঙ্গা নদীর পানির রং কালচে ধারণ করেছে। পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। নদীর মাছ মরে যাচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে সেচকাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ১৫ দিন আগেও তারা এ নদীর পানি ব্যবহার করতে পারতেন। তাদের অভিযোগ, জয়পুরহাট চিনিকলে আখমাড়াই শুরু হয়েছে। চিনিকলের বর্জ্যে নদীর পানি দূষিত হয়েছে। তবে জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন আকন্দ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলন, যাচাই বাছাই না করে নদীদূষণের জন্য চিনিকলকে দায়ী করা ঠিক হবে না। সরেজমিন দেখা গেছে, চিনিকলের বর্জ্যের পানি প্রথমে সদর উপজেলার জামালপুর ইউপির মরা খালে এসে পড়ছে। সেখান থেকে আক্কেলপুরের জামালগঞ্জ এলাকার শ্রী খালে গিয়ে পড়ছে। দুর্গন্ধযুক্ত কালচে রঙের সেই পানি শ্রী খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তুলসীগঙ্গা নদীতে মিশছে। সেই দূষিত পানির জন্য শ্রীখাল ও নদীর মাছ মারা যাচ্ছে। আওয়ালগাড়ী উত্তর বালু পাড়া গ্রামের ইউনুস আলী বলেন, তার বাড়ি শ্রী খালের উপরে। দিনে চিনিকলের দূষিত পানির গন্ধ একটু কম হলেও রাতে দুর্গন্ধে বাড়ির ভেতরে থাকা যায় না। এই দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ চান তিনি। নদীরকূল গ্রামের বাসিন্দা বুলু হোসেন বলেন, প্রতিবছর চিনিকলের দূষিত পানি শ্রী খালে পড়ে। এতে কয়েক মাস বাড়িতে থাকতে কষ্ট হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগেও নদীর পানি ভালো ছিল। নদীপাড় এলাকার বিপুলসংখ্যক কৃষক নদীর পানি সেচকাজে ব্যবহার করতেন। চিনিকলের দূষিত পানিতে নদীর পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কৃষকদের নদীর এ দূষিত পানি সেচকাজে ব্যবহারে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্য কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম বলেন, এ পানিতে শুধু মাছ নয়, সাপ, পোকামাকড় কিছুই বাঁচতে পারবে না। এ বিষয়ে তারা চিনিকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেনি। জয়পুরহাট চিনিকলের এমডি আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, চিনিকলের পানিতে তুলসীগঙ্গা নদীর পানি দূষিত হয়েছে, তা যাচাইয়ের আগে বলা সঠিক হবে না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জয়পুরহাট চিনিকলে ইটিপি স্থাপনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে বলে তিনি জানান।