দৌলতদিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যানবাহন

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা
টঙ্গীতে শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে বুধবার থেকেই মুসলিস্নরা ছুটতে শুরু করেছেন। তাদের বয়ে আনা কয়েকশ' যাত্রীবাহী বাসের বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে দৌলতদিয়া ঘাটে। পাশাপাশি ফরিদপুরের চন্দ্রপাড়া দরবার শরীফের বাৎসরিক ওরস শেষে সকাল থেকেই ভক্তরা কয়েকশ' বাসযোগে এসে ভিড় করেছে ঘাট এলাকায়। এতে করে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় বিকাল নাগাদ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অন্তত ৫ কি.মি. জুড়ে সহস্রাধিক যানবাহন মহাসড়কে আটকে ছিল। আটকে পড়া হাজারো মুসলস্নী ও সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ঘাট সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। পাশাপাশি ইজতেমাগামী ও ওরস ফেরৎ বাড়তি বাস এবং অসংখ্য মুসলস্নী একযোগে ঘাটে আসায় চাপের সৃষ্টি হয়। বিকাল ৩টায় ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের অন্তত ৫ কি.মি. জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। বহু যাত্রী দীর্ঘ সময় বাসে বসে থেকে অবশেষে হেঁটে ঘাটের দিকে যান। মহাসড়কের পাশের খালে বহু মুসলস্নী কাদা-পানির মধ্যে অজু করে খালের পাড়েই ঘাসের মধ্যে নামাজ আদায় করেন। প্রসাব-পায়খানার চাপে অনেকে পাশের শস্য ক্ষেতে যান। ঢাকা সাভারের শাহ আলম, মোশারফ হোসেনসহ অনেকেই জানান, তারা ফরিদপুরের বাৎসরিক ওরসে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে ঘাটে এসে আটকে পড়েছেন। বিআইডবিস্নউটিসি দৌলতদিয়ার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুলস্নাহ জানান, দুর্ভোগ কমাতে যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। সাংবাদিকের নামে মামলা প্রত্যাহার