নিজেই নিজের বিয়ে আটকালো স্কুলছাত্রী

প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকাতে শিক্ষকের মোবাইল থেকে ইউএনওর সাহায্য চাইলো দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। ইউএনও তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে তার বাল্যবিবাহ বন্ধ করান। বুধবার সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। মেয়েটি উপজেলার বড়াইগ্রাম ইউনিয়নের আদগ্রাম গুচ্ছপাড়া এলাকার আব্দুল লতিফের মেয়ে এবং আদগ্রাম শহিদ শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়েল দশম শ্রেণির ছাত্রী। ওই শিক্ষার্থী জানায়, তারা চার বোন, বাবা দরিদ্র কৃষক। বড়বোন ভালো ছাত্রী ছিল কিন্তু নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবা জোড় করে বিয়ে দিয়েছেন। এখন আবার তাকে বিয়ে দিচ্ছেন। তার ইচ্ছে পড়া লেখা করে পুলিশ অফিসার হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসহাক আলী জানান, সে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। তার বাবা দারিদ্র্যতার অজুহাতে বিয়ে দিতে চাচ্ছেন। সে বুঝিয়েও কোনো সুফল পাননি। তার বড় বোনকেও একইভাবে বিয়ে দিয়েছেন। লিলির বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, তিনি গরিব। বেশি লেখাপড়া শেখালে বেশি খরচ করে বিয়ে দিতে হবে। এত খরচ তার পক্ষে সম্ভব না। তাই বিয়ে দিতে চেয়েছেন। এখন ভুল বুঝতে পেরেছেন, আর বাল্যবিবাহ দেবেন না। বড়াইগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোমিন আলী বলেন, তিনি নিজে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেছেন। একই সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশকে এ বিষয়ে খোঁজ রাখতে বলেন। ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সে অত্যন্ত সাহসের পরিচয় দিয়েছে। এই সাহসকে কাজে লাগিয়ে সে বড় মানুষ হতে পারবে।