ইঞ্জিন ও ওয়াগন সংকট

রংপুরের ডিপোগুলো জ্বালানি তেলশূন্য

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আবেদুল হাফিজ, রংপুর রংপুরে রেলওয়ে ইঞ্জিন ও ওয়াগন সংকটে জ্বালানি তেল শূন্য হয়ে পড়েছে ডিপোগুলো। কবে নাগাদ তেল মজুদ হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন ফিলিং স্টেশন মালিকরা। সময়মতো তেল না পাওয়ায় তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হাহাকার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্বালানি তেল বিপণনকারী মেঘনা, পদ্মা ও যমুনা পেট্রোলিয়ামের আওতায় রংপুরে রয়েছে ৮৫টি ফিলিং স্টেশন। রংপুরে পেট্রোলিয়াম ডিপোগুলোতে ২৭ লাখ লিটার ডিজেল, ১০ লাখ ৬০ হাজার লিটার কেরোসিন, ছয় লাখ লিটার পেট্রোল ও ৬ লাখ ৮০ হাজার লিটার অকটেন মজুদ রাখা যায়। বর্তমানে দ্বিগুণ খরচে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ডিপো থেকে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিতে হচ্ছে রংপুরে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রংপুর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ শহীদ শোভনের দাবি রেলওয়ে ইঞ্জিন ও ওয়াগন সংকটে তারা ঠিকমতো জ্বালানি তেল পাচ্ছেন না। রংপুর ডিপো থেকে জ্বালানি তেল নিলে তাদের খরচ পড়ে তিন হাজার টাকা। অন্য দিকে, বাঘাবাড়ী থেকে ১২ হাজার ও পার্বতীপুর থেকে আনতে লাগে সাড়ে ৬ হাজার টাকা। যমুনা পেট্রোলিয়াম ডিপোর সহকারী ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোনে তেল সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, রেল ইঞ্জিন ও ওয়াগন সংকটে পাম্প মালিকদের ঠিকমতো তেল সরবরাহ করতে পারছেন না। গত ১২ জানুয়ারি সবশেষ রংপুরের ডিপোগুলো তেল পেয়েছিল। তবে তিনি বলেন, পাম্প মালিকদের সাথে সমন্বয় করে বাঘাবাড়ী ও পাবর্তীপুর থেকে তেল আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রংপুর জেলা বিএডিসি (সেচ) নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম মিজানুর ইসলাম জানান, বিএডিসির আওতায় রংপুর জেলা ডিপ টিউবয়েলে বৈদু্যতিক সংযোগের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে সেচ দিতে পারে মোট আবাদি জমির সাড়ে ৬ শতাংশ। বাকিটা হবে ডিজেলচালিত স্যালো মেশিনে ও নদীনালা থেকে সেচের পানি পেয়ে থাকে। রংপুর রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার আলমগীর মিয়া যায়যায়দিনের কাছে রেলের ইঞ্জিন ও ওয়াগন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, রেলওয়ের ওপর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে ব্রডগেজ লাইনে চট্টগ্রাম থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ভালোভাবে এলেও মিটারগেজে রংপুরে তেল আনার ক্ষেত্রে সমস্য দেখা দেয়। এজন্য সরবরাহ ঠিকমতো হয় না।