সাপাহারে পেয়ারা ও মাল্টার সমন্বিত চাষ

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সাপাহার (নওগাঁ) সংবাদদাতা
কৃষিখাতে নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন নিয়ে নওগাঁর সাপাহারে একই জমিতে পেয়ারা ও মালটা চাষে উদ্যেগ নিয়েছেন মাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে ইসমাইল হোসেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে কৃষক ইসমাইল হোসেন প্রতিবেদকদের জানান, একই জমিতে পেয়ারা ও মালটা চাষের জন্য তিনি তার মামা রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি উপজেলার মাইপুর গ্রামে তার নিজস্ব ৭০ শতাংশ জমির ওপর ৪০০টি পেয়ারা গাছ ও ২০০টি মালটা গাছের সমন্বয়ে তৈরি করেন পেয়ারা ও মালটার বাগান। ৬ মাস আগে রোপিত গাছগুলো বর্তমানে বেশ বড়ো হয়ে ফল ধরার উপযোগী হয়েছে। এরই মাঝে বেশ কিছু গাছে মালটা ও পেয়ারা দেখা গেছে। এর আগে ওই কৃষক প্রায় ২০ বিঘা জমিতে আমবাগান লাগিয়ে বেশ স্বাবলম্বী হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কৃষি খাতে নতুনত্ব আনার জন্য স্বল্প জায়গায় বিভিন্ন প্রকারের ফল ও ফসলাদি ফলাবার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন। পেয়ারা ও মালটা বাগানের পরিচর্যার জন্য তিনি নিয়মিতভাবে সাপাহার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন দিন বদলের জন্য। এই ধরনের সমন্বিত বাগানে কী ধরনের লাভবান হবেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যে জায়গাজুড়ে তিনি এই চাষ করেছেন সেটা যদি অন্য কোনো একক ফলের গাছ চাষ করতেন তাহলে সে মুনাফাটা হতে পারত একমুখী। কিন্তু এই ধরনের সমন্বিত চাষে দ্বিমুখী মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।