আনোয়ারায় বিষমুক্ত সবজি চাষ

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

জাহাঙ্গীর আলম, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ক্ষেতে পোকা দমনে বিভিন্ন ফাঁদ ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করছেন কৃষক -যাযাদি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় শুরু হয়েছে পরিবেশবান্ধব কৌশলে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদনের পাইলট প্রকল্প। উপজেলার তৈলারদ্বীপ গ্রামে সাঙ্গু নদের পাড়ে ফসলি ক্ষেতে কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে পোকা দমনে বিভিন্ন ফাঁদ ও জৈব বালাইনাশক। ইতিমধ্যে ওই এলাকাকে নিরাপদ ফসলি উৎপাদন এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। কীটনাশক ব্যয় না থাকায় বিষমুক্ত সবজি চাষে আকৃষ্ট হচ্ছেন এলাকার কৃষক। ফলে কম খরছে অধীক সবজির উৎপাদনসহ স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ সবজির ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশাবাদী তারা। আনোয়ারা কৃষি অফিস জানায়, উপজেলায় ১৪২২ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি ও ফসলের চাষ করা হয়। এর মধ্যে শুধু শিম ২২০ হেক্টর, টমেটো ৬৫ হেক্টর, বেগুন ১২৫ হেক্টর, মরিচ ২২৫ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ হেক্টর, ডাল ১৮৩ হেক্টর, তরমুজ ১৭ হেক্টর, খিরা ১৯ হেক্টর ও বাঙ্গি ১৮ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। এ বছর উপজেলা কৃষি অফিস নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ গ্রামকে পরিবেশবান্ধব কৌশলে নিরাপদ কৃষি ফসল উৎপাদনের পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় চাষ করা হচ্ছে- ফুলকপি, বেগুন, শিম, টমেটো, শসা, কাকরোল, করলা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, লাল শাকসহ অন্যান্য সবজি। এছাড়া তরমুজ, খিরা, বাঙ্গিসহ বিভিন্ন ধরণের ফলও রয়েছে। এতে ফসলের পোকা দমনে স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ, লিউর, হলুদ ফাঁদ ও জৈব বালাইনাশক। ওই গ্রামের কৃষক সোহেল বলেন, তরমুজ, বাঙ্গি, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন এবং লাল শাকসবজি জাতীয় সবকিছুই তাদের এখানে আছে। তিনি ১৪০ শতক জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গির চাষ করেছেন। তার সব মিলে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এরই মধ্যে ৯৫ হাজার টাকার বাঙ্গি ও তরমুজ বিক্রি করেছেন, সব ঠিক থাকলে এ বছর আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার ফসল বিক্রি করতে পারবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, 'নিরাপদ কৃষি ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে তৈলারদ্বীপ গ্রামে কয়েকটি বস্নকে কৃষক দল গঠন করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় ১৫০ কৃষক ৩০ হেক্টর জমিতে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করছেন।'