দুই জেলায় আরও দুই লাশ

যশোরে মারধরে অসুস্থ বৃদ্ধের মৃতু্য

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
যশোরে মারপিটে অসুস্থ বৃদ্ধের মৃতু্য হয়েছে। অন্যদিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল ও কক্সবাজারের পেকুয়ায় দুই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর- যশোর : যশোর সদরের ভাতুড়িয়ার দায়পাড়ায় মারপিটের শিকার হয়ে হাশেম আলী (৬৬) নামে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ, একই এলাকার মান্নান, মিন্টু ও তাদের লোকজন তাকে দুই দফা মারপিট করলে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে মারা যান তিনি। তিনি হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃতের ছেলে আছর আলী জানান, গত বুধবার গাছ থেকে রস পেড়ে খাওয়ার মিথ্যা অজুহাত তুলে তাকেসহ তার কয়েকবন্ধুকে মারপিট করে মান্নান ও মিন্টু। এরপর রাতের দিকে ওই দু'জন ফের তাদের বসতবাড়িতে ঢুকে তার বাবাকে চড় থাপ্পড় ও কিল ঘুসি মারে। এমনকি পরদিন বৃহস্পতিবার সকালেও আরও লোকজন নিয়ে তাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও তার বাবাকে আবারও মারধর করে। এমনিতেই তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রোগে ভুগছিলেন, তারপর এভাবে দফায় দফায় মার খেয়ে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। যশোর কোতোয়ালি থানার এসআই আ ফ ম মনিরুজ্জামান জানান, পরিবারের লোকজন দাবি করছে তাকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী এলাকায় শোলাকুড়া গ্রামে বিল থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে এ লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুটি হলো শোলাকুড়া গ্রামের আব্দুর রহিম মুন্সির ছেলে মেহের আলী (৬)। সাগরদিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশু মেহের আলী তার মামা শামিমের (১৩) সাথে খেলতে যায়। কিন্তু মেহের আলী রাতে আর ফিরে আসেনি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে বাড়ির পাশে শোলাকুড়া বিলে শিশুটির মৃত লাশ পাওয়া যায়। এ দিকে ঘটনার পর থেকে মামা শামিমসহ তার পিতা-মাতা পলাতক রয়েছে। শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি। পেকুয়া (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিহিন্দি জালের ভিতর মিলল মো. সাঈদুল হক নামে নিখোঁজ এক কিশোরের লাশ। তিনি মগনামা ইউপির বাজার পাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে। সোমবার থেকে মো. সাঈদুল হক নিখোঁজ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পেকুয়া-মগনামা সীমান্তের কাটাফাঁড়ি ব্রিজের কাছে ভোলা খাল থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লেদু নামের এক ব্যক্তি ভোলা খালে বিহিন্দি জাল পেতে মাছ ধরেন। তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে জাল তুললে গলায় মাফলার পেঁচানো এক কিশোরের মরদেহ দেখতে পান। দ্রম্নত স্থানীয়দের এ বিষয়ে অবগত করেন। পরে পেকুয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান মরদেহটি উদ্ধার করেন। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, কিশোর সাঈদুল নিখোঁজের অভিযোগে সোমবার জিডি করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহটি উদ্ধার করা হলো। শুক্রবার সকালে ৩ জনকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।