ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ গ্যাস ব্যবহার

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাকাইল গ্রামে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নেওয়া গ্যাসের পাইপ -যাযাদি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির নলকূপ ও জমির মাটি ভেদ করে বের হচ্ছে গ্যাস। এসব গ্যাস ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যবহার করছে সদর উপজেলার তিন ইউনিয়নের (সুহিলপুর, মজলিশপুর ও বুধল ইউনিয়ন) কয়েক হাজার পরিবার। শুধু তাই নয়, গ্রামের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১৫ থেকে ১৬টি চুন ফ্যাক্টরি, বাজারের বিভিন্ন হোটেল ও চায়ের দোকানে ব্যবহার হচ্ছে এই পকেট গ্যাস। ঝুঁকিপূর্ণ এই গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে মাগুরছড়ার মতো ভয়াবহ অগ্নিকান্ড। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের বাকাইল গ্রামের বিভিন্ন বাড়ির নলকূপ ও জমির মাটি ভেদ করে গ্যাস উদগীরিত হচ্ছে। প্রথমে গ্রামবাসী এ গ্যাস বিভিন্ন উপায়ে নিজেদের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। ২০১০ সালে শুরু হয় এর বাণিজ্যিক ব্যবহার। গ্রামের প্রভাবশালী একটি চক্র পস্নাস্টিকের পাইপ দিয়ে এই গ্যাস নিয়ে যায় উপজেলার তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। গ্রামের রাস্তার পাশে থাকা গাছের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এ পাইপ। অপরদিকে আরেকটি প্রভাবশালী চক্র গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গড়ে তোলে অবৈধভাবে ১৫ থেকে ১৬টি চুন ফ্যাক্টরি। এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ এই গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালান। এ সময় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১৫টি চুন ফ্যাক্টরি, প্রায় ৫ শতাধিক আবাসিক এবং ১০টি হোটেলের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত গ্যাস সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত প্রায় ২০ হাজার মিটার পস্নাস্টিকের পাইপ এবং ১২০টা ড্রাম ধ্বংস করে। এ সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ডিজিএম জাহিদুর রেজা, বিজিএফসিএলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন তরফদার, সদর থানার ওসি সেলিম উদ্দিনসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে এ অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে বুলডোজার দিয়ে অবৈধ চুন ফ্যাক্টরিগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।