বড়াইগ্রামে কমেছে অপরাধ

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা সদর বনপাড়া পৌর শহরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে কমেছে অপরাধ। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পর গত তিন মাসে কোন অপরাই সংঘটিত হয়নি বনপাড়ায়। বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তৌহিদুল ইসলাম জানান, এখানে অপহরণ, টাকা ছিনতাই, দোকান চুরির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছিল। উত্তর-দক্ষিনাঞ্চলের টার্নিং পয়েন্ট বনপাড়া বাইপাস হওয়ায় এখানে অপরাধের মাত্রা বেড়েই চলছিল। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা থেকে ফুটেজ নিয়ে গুটি কয়েক ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করা সম্ভব হলেও অধিকাংশ অধরা থেকে যাচ্ছিল। অবশেষে সিসি ক্যামেরাতেই ভর করতে হলো পুলিশকে। নাটোরের পুলিশ সুপারের নির্দেশে বনপাড়া বাইপাস মোড়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল মোড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। এরপর থেকেই কমতে শুরু করেছে অপরাধ। এর সফলতার কারনে উপজেলার বড় বাজার, মহাসড়ক এলাকার ষ্ট্যান্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বনপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস মিয়াজী বলেন, গত আগষ্ট মাসে বনপাড়া পাটোয়ারী ক্লিনিকের ম্যানেজারকে ক্লিনিকের সামনে থেকে, সেপ্টেম্বরে ক্লিনিকের এক্সেরে চালককে গোপালপুর রোডের মাথা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তারা। একই মাসে গড়মাটি এলাকার এক ব্যবসায়ী সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা মাইক্রোবাসে তুলে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেই যাচ্ছিল। পুলিশে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার হচ্ছিল না। তবে গত কিছুদিন থেকে এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে না। পৌর মেয়র জাকির হোসেন বলেন, এলাকাটি যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দেশের উত্তর-দক্ষিনাঞ্চলের রুট পয়েন্ট। বিভিন্ন এলাকার গাড়ী চলাচলের পাশাপাশি নানা শ্রেণি পেশার মানুষের আনাগোনা বেশি। ফলে অপরাধীরাও ভিড় করে এখানে। পুলিশের সিসি ক্যামেরায় অপরাধ কমেছে। পাশাপাশি পৌরসভা থেকেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাহলে অপরাধ আরও কমবে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, সিসি ক্যামেরায় ধরা পরার ভয়ে অপরাধ অনেকটা কমেছে। বিভিন্ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে প্রত্যেকের সামনে একটা করে ক্যামেরা দেওয়ার জন্য। কারণ পুলিশের পক্ষে সকল এলাকায় ক্যামেরা লাগানো সম্ভব নয়।