দৌলতদিয়া ঘাট

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গরু বোঝাই গাড়ি পার

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা
দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নিবিের্ঘœ গরুবাহী যানগুলোকে ফেরি পারের জন্য বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এতে করে যানজটমুক্তভাবে নদী পার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে ওই গাড়িগুলো। তবে দুই সারিতে অন্যান্য শত শত যানবাহন আটকা পড়ে চরম দুভোের্গর সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, গরুবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন থেকে বাড়তি টাকা আদায় এবং দালাল ও চঁাদাবাজ প্রতিরোধে ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারপরও সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য কমেনি। শুক্রবার অনেক চালক সরাসরি কাউন্টার থেকে নিধাির্রত মূল্যে ফেরির টিকিট কাটতে পারলেও অনেক চালককে দালালদের খপ্পরে পড়ে ৩০০ থেকে ১০০০ টাকা পযর্ন্ত বাড়তি দিতে হয়েছে। এছাড়া পশুবোঝাই ট্রাক অতিরিক্ত ওজন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী সেগুলোকে ওজন নিণর্য় করেই ঘাটে পেঁৗছাতে হয়। এ বিপুলসংখ্যক পশুবোঝাই ট্রাক পরিমাপ করতে গিয়ে ওয়েটস্কেল এলাকায় সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। এতে চরম দুভোের্গর শিকার হচ্ছে গরুবোঝাই ট্রাক চালাক-ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য যাত্রীরা। ঘাট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ এলাকায় বিআইডবিøউটিসি স্থাপিত ওয়েট স্কেল (যানবাহনের ওজন নিণর্য়যন্ত্র) এলাকায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। গরুবোঝাই অতিরিক্ত ট্রাক পরিমাপ করতে হিমশিম খেতে হয় কতৃর্পক্ষকে। আর এই পরিমাপ করতে গিয়েই সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে করে গুরুত্বপূণর্ ওই এলাকায় যানবাহান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। কুষ্টিয়া থেকে আসা গরুবোঝাই ট্রাক চালক জামালউদ্দিন ও ফরিদপুর হতে আসা আলামিন খান জানান, তারা ন্যায্যমূল্যে টিকিট কেটে যানজট এড়িয়ে সরাসরি ফেরিঘাটে আসার সুযোগ পেয়েছেন। এতে তাদের কোনো ভোগান্তি হয়নি। অপর দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গরুবোঝাই ট্রাকচালক রুহুল আমিন, মাগুরা থেকে আসা আলামিন মিয়া, রাহুল শেখসহ কয়েকজন চালক অভিযোগ করেন, তারা সরাসরি কাউন্টার থেকে টিকিট নিতে পারেননি। দালালদের মাধ্যমে টিকিট নিতে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা পযর্ন্ত বাড়তি দিতে হয়েছে। বিআইডবিøউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটে কমর্রত ব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম পশুবোঝাই ট্রাকগুলো অতিরিক্ত ওজন হয় না স্বীকার করে জানান, পরিমাপ না করে ফেরির টিকিট প্রদান করার নিয়ম নেই। বিশেষ সময় বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নিদের্শ দিলেই একমাত্র ওজন রসিদ ছাড়া গরুবাহী ট্রাকগুলোকে ফেরির টিকিট প্রদান করা সম্ভব হবে। বতর্মানে দৌলতদিয়ায় ৫টি ফেরিঘাট ও নৌরুটের ফেরি বহরে ২০টি ফেরি সাবর্ক্ষণিকভাবে যানবাহন পারাপার করছে বলে তিনি জানান। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি জানান, গরুর গাড়িগুলোকে সবোর্চ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নদী পারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওয়েটস্কেলে ওজন না দিয়ে ¯িøপ দেয়ার জন্য কতৃর্পক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। দালাল ও চঁাদাবাজ প্রতিরোধে তারা কঠোর অবস্থানে আছেন। কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।