উলিপুরে গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ছোট বড় দেড় শতাধিক খামারে মোটাতাজাকরণ প্রায় ৩০ হাজার কোরবানির ষঁাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গো-খামারিরা। প্রায় ৯ মাস ধরে লালনপালন করা এসব ষঁাড় গরু এখন কোরবানির হাটের জন্য তৈরি রয়েছে। তবে ভারতীয় গরু কোরবানির বাজারে প্রবেশ করলে দেশি এসব গরুর দাম পাওয়া যাবে না। উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ী ইউনিয়ন এলাকার বেকার যুবক খাইরুল ইসলাম ২ বছর আগে গরুর খামার করেছেন। গত বছর প্রথমবারের মতো তার ফামের্ পরিচযার্ করা হয় ৪০টি দেশি ও বিদেশি ষঁাড় গরু নিয়ে ভালো লাভের আশায় গিয়েছিলেন কোরবানির হাটে কিন্তু ভারতীয় গরুর দাপটে স্বল্প লাভ নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছিল তাকে। ওই বছরেই তিনি বিভিন্ন বাজার ঘুরে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ৪০টি দেশি ষঁাড় কেনেন। পরবতীর্ কোরবানির হাটের জন্য দীঘর্ ৯ মাসে এসব গরুর পরিচযার্য় তার আরও ব্যয় হয়েছে ১২ লাখ টাকা। দুজন কমর্চারীসহ দিনরাত পরিশ্রম করে ভালো খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা ৪০টি ষঁাড় গরু নিয়ে এখন কোরবানির হাটের জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। ভারতীয় গরুর দাপট না থাকলে এবার দেশি ষঁাড় দিয়ে মোটা অঙ্কের লাভের আশা ফামের্র মালিক খাইরুল ইসলামের। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ ডা. আব্দুল আজিজ জানান উপজেলায় ছোট বড় দেড় শতাধিক খামারে অন্তত ৩০ হাজার গরু এবারে কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত। এছাড়াও চরাঞ্চলে রয়েছে আরও অন্তত ২০ হাজার মোটাতাজাকরণ গরু। স্থানীয় গরু দিয়েই এই উপজেলার কোরবানির হাটের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তাই ভারতীয় গরু যাতে না আসে সেজন্য সং¯িøষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানান তিনি।