ফরিদপুরে ফুল চাষে ভাগ্যবদল

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে ফুল বাগানে পরিচর্যার কাজ করছেন চাষি লিয়াকত হোসেন -যাযাদি
ফরিদপুরের আলীয়াবাদ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত হোসেন ফুল চাষ করে নিজের ভাগ্যবদল করেছেন। চাকরির পেছনে ছুটে অনেকটা ব্যর্থ হয়েই ফুল চাষ শুরু করেন। চাকরি না পাওয়ার বেদনা থাকলেও ফুল চাষে সফলতা আসায় মুখে হাঁসি ফুটেছে তার। আসছে ফেব্রম্নয়ারি মাসে রয়েছে ফুলচাষিদের বড় টার্গেট। আলীয়াবাদ ইউনিয়নের খুশিরবাজার এলাকায় ২০১৮ সালের শেষ দিকে মাত্র ৫২ শতাংশ জমিতে বড় ভাই আনোয়ার হোসেনের সহযোগিতায় জারবেরা ফুলের চাষ শুরু করেন লিয়াকত। ২০১৯ সালে ব্যবসা ভালো হওয়ায় আরও ৭৫ শতাংশ জমি নিয়ে এখন মোট ১২৭ শতাংশ জমিতে ফুল চাষ করছেন তিনি। জারবেরার পাশাপাশি চন্দ্রমলিস্নকা ও জিপসি ফুল চাষ করছেন। নতুন করে তিনি গোলাপের চাষের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করছেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই ফুল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এখানকার ফুলচাষিদের টার্গেট এখন ফেব্রম্নয়ারি মাসকে ঘিরে। কারণ, এই মাসে ফুলের চাহিদা অনেক বেশি। একদিকে ১৪ ফেব্রম্নয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, অন্যদিকে মহান একুশে ফেব্রম্নয়ারি। লিয়াকত আরও জানান, অনার্স ও এলএলবি শেষে চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করেও ভাগ্যে জোটেনি তা। পরে বড় ভাইয়ের মাধ্যমে সাভারে গিয়ে ফুল চাষের কাজ শিখেন। এরপর প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে যশোর ও ভারত থেকে সাত হাজার জারবেরার চারা এনে চাষাবাদ শুরু করেন। এখন তার বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ টাকা। যা তিনি গত দেড় বছরের লাভ থেকে করেছেন। তার বাগানের ফুল ফরিদপুর ও আশপাশের জেলা ছাড়াও ঢাকা ও চট্টগ্রামের পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছে। আলীয়াবাদের আরেক ফুলচাষি আবু সাইদ মন্ডল জানান, জারবেরা ১০০ পিস বিক্রি করছেন হাজার টাকায়। এ ছাড়াও অন্যান্য ফুলের দামও ভালো পাচ্ছেন। ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় জেলায় কয়েকটি স্থানে ফুলের চাষ হচ্ছে। তবে যারা কৃষি বিভাগের সঙ্গে কম যোগাযোগ রাখছেন, তাদের সবসময় সহযোগিতা করা সম্ভব হয় না। তিনি জানান, যাদের সমস্যা আছে, যোগাযোগ করলে তাদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।