চট্টগ্রাম গণহত্যা

দুঃসহ স্মৃতি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন অমল

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারির গণহত্যার ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান অমল কান্তি দাশ। সীতাকুন্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা অমল ওইদিন মিছিল নিয়ে গিয়েছিলেন লালদীঘির শেখ হাসিনার সমাবেশে। সঙ্গে ছিলেন বন্ধু মহিউদ্দিন শামীমসহ অনেকেই। পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে শামীমসহ তিনি মুখমন্ডল ও শরীরের নানা স্থানে বুলেটের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শামীম মারা গেলেও কোনো রকমে বেঁচে যান অমল। পরবর্তীতে নানা ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে তিনি ভারতে চলে যান। কিন্তু সেদিনের সেই দুঃসহ ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন এখনো মুখে বয়ে বেড়াচ্ছেন। অমল দাশ বলেন, জনসভা চলছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে। বুলেটে একে একে ঢলে পড়ছিল মানুষ। মানুষের আর্তনাদ, আহতদের গোঙানির শব্দ, টিয়ারশেলের ধোঁয়া, বারুদের গন্ধে সবকিছু অচিন হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টির মতো গুলির মুখেও মানববর্ম তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বাঁচায় চট্টগ্রামের বীর জনতা। পুলিশি বাধা ডিঙ্গিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পরীর পাহাড়ের আদালত ভবনে। তিনি আরও জানান, বুলেটের আঘাতে খসে পড়ে তার মুখমন্ডলের একাংশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ঢাকায় অপারেশনের প্রস্তুতিকালে ডা. রুহুল হককে স্বৈরাচার সরকার তুলে নিয়ে গিয়েছিল যেন অপারেশ না হয়। অনেক নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে তার অপারেশন করা হয়। অমল দাশ জানান, ঘটনার দীর্ঘ ৩২ বছর পরে রায় হলেও তিনি খুশি। এই রায়ের ফলে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের জঘন্য কাজে উৎসাহিত হবে না।