রায় শুনে কাঁদলেন শামীমের মা

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে চট্টগ্রামে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের মধ্যে শামীম ছিলেন প্রথম। সীতাকুন্ড ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন শামীম। নৃশংস এ ঘটনার পর ৩৩ বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় ছিল শামীমের পরিবার। অবশেষে সোমবার আদালত ৫ আসামিকে মৃতু্যদন্ড দিয়েছে। এতে স্বস্তি প্রকাশ করে রায় দ্রম্নত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন সীতাকুন্ডের ছাত্রনেতা শহীদ মহিউদ্দিন শামীমের ছোট ভাই মেহেদী হাসান। রায়ের পর অশ্রম্নসজল নয়নে শামীমের মা নিলুফা হক বলেন, একদিনের জন্যও ছেলেকে ভুলতে পারেননি তিনি। তিনি বিধবা ছিলেন। পরিবারের বড় ছেলে শামীমের উপরই ভরসা ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হলে তিনি চরম অসহায় হয়ে পড়েন। কেউ খবর রাখেনি। ১৯৯৭ সালে একদিন শেখ হাসিনা তার বাড়িতে আসেন এবং তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, 'আমিও পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। দুই বোন ছাড়া আর কেউ নেই।' এখন খুনি কয়েকজনের ফাঁসির রায়ে তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। শামীমের ছোট ভাই মেহেদী হাসান বলেন, ভাইয়ের হত্যার বিচারের জন্য ৩৩ বছর অপেক্ষা করতে হলো। তার ভাই মারা যাওয়ার পর দুই-তিন বছর অনেকে খবর রাখলেও এরপর কেবল ২৪ জানুয়ারি এলে সবাই গণহত্যার শহিদ পরিবারের খোঁজ করে। নতুবা সারাবছর কেউ খবরও নেয় না। সোমবার ভাইয়ের হত্যার রায় ঘোষণা হওয়ায় তিনি আনন্দিত। এখন দ্রম্নত রায় কার্যকর চান।