রাজশাহীতে বাঁধ দেওয়ায় প্রবাহ হারাচ্ছে জলধারা

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বদরুল হাসান লিটন, রাজশাহী
রাজশাহীর পদ্মা পাড়ের জলাধার শুকিয়ে জেগে ওঠা রাস্তা -যাযাদি
রাজশাহী নগরের কূল ঘেঁষে প্রবাহিত জলধারা শুকিয়ে জেগে উঠছে রাস্তা। উজানের মুখে বাঁধ দেওয়ার কারণে নগর ঘেঁষে বয়ে যাওয়া জলধারাটি শুকিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এতে নগরের পরিবেশের উপরও প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। মাঝ পদ্মায় বিশাল চর জাগলেও পানি প্রবাহ থাকতো সারা বছর। চরে যেতে প্রয়োজন হতো নৌকা। পদ্মার আংশিক এ জলাধারে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো জেলেরাও। কিন্তু নগরের তালাইমারি জাহাজ ঘাট, কুমারপাড়া, বড়কুটি, দরদাপাড়া ও বুলনপুর এলাকায় এ জলধারা শুকিয়ে তৈরি হয়েছে রাস্তা। এখন আর চরে যেতে প্রয়োজন হয় না নৌকা। মাছ ধরে না জেলেরাও। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আমিরুল হক ভূঞা বলেন, নগরের কূল ঘেঁষে যে জলধারাটি প্রবাহিত হয় তার মুখ সোনাইকান্দি এলাকায়। কিন্তু বালু উত্তোলনের জন্য সোনাইকান্দি ও নবগঙ্গা এলাকায় দুইটি বাঁধ দেওয়া হয়েছে যাতে চরে ট্রাক যাতায়াত করতে পারে। এ কারণে মূলত জলধারাটি শুকিয়ে তালাইমারি জাহাজ ঘাট পর্যন্ত রাস্তা জেগে গেছে। যেখান দিয়ে লোকজন এখন হেঁটে চরে যাতায়াত করছে। রাজশাহী পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা মাহফুজুর রহমান বলেন, জলধারাটি কেন শুকিয়ে গেছে জানতে পরিবেশ আন্দোলনের পক্ষ থেকে কয়েকজন সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন। এতে দেখা গেছে জলধারার মুখ সোনাইকান্দি এলাকায় বাঁধ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে নবগঙ্গা এলাকায় আরেকটি বাঁধ দেওয়া হয়। যে কারণে সোনাইকান্দি থেকে তালাইমারি পর্যন্ত জলধারাটি শুকিয়ে নগর থেকে পদ্মা কয়েক কিলোমিটার দূরে সরে গেছে। যার প্রভাব রাজশাহীর পরিবেশের উপর পড়তে শুরু করেছে। ওই চরে বেড়াতে আসা আইনাল হক বলেন, পানি শুকিয়ে বালুর রাস্তা বের হয়েছে। তবে ড্রেনের পানি আটকে থাকায় দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এখানে পাইপ দিয়ে পানি বের করে দেওয়াসহ রাস্তা সংস্কার করলে বেড়াতে আসা লোকজনের সুবিধা হতো। তালাইমারির আফজাল হোসেন বলেন, এক সময় তালাইমারি জাহাজ ঘাটে শুষ্ক মৌসুমেও পানি থাকতো। কিন্তু গত তিন-চার বছর ধরে এখানে শুকিয়ে বালুর রাস্তা বের হয়েছে।