চার জেলায় ৫ মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
স্বদেশ ডেস্ক নারায়ণগঞ্জ, বগুড়ার ধুনট পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবং কুষ্টিয়ার সদর ও দৌলতপুর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর: নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুলস্নায় একটি গাছের উপর ঝুলন্ত অবস্থায় জুয়েল (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে ফতুলস্নার ভোলাইল গেদ্দার বাজারের মীরের বাড়ির পিছনে হাজী কামালের খালি মাঠের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। জুয়েল ফতুলস্নার ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার আজাদ মহাজনের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে একই এলাকার গফুর মিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন। জুয়েলের স্ত্রী সোমা আক্তার জানান, জুয়েল এলাকায় রিকশার ব্যবসা করতেন। ব্যবসা নষ্ট হলে কিছু দিন রিকশা চালান। তাদের দুটি মেয়ে রয়েছে। বুধবার রাত ১২টার পর তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। সারারাত তিনি আর ফিরেননি। সকালে একটি গাছে জুয়েলের মরদেহ ঝুলতে দেখার খবর পান। ফতুলস্না মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, জুয়েল মাদকাসক্ত ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে রাতে এলাকার খালি মাঠের একটি গাছে নিজের গায়ের চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। ধুনট (বগুড়া) : বগুড়ার ধুনটে স্বামীর বাড়ি থেকে তানিয়া আকতার (২০) নামে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চালাপাড়া গ্রাম থেকে ধুনট থানা পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তানিয়া উপজেলার বাটিকাবাড়ি গ্রামের তোজাম্মেল হকের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে তানিয়ার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের চালাপাড়া গ্রামের কামরুল মন্ডলের সঙ্গে প্রায় ৮ মাস আগে তানিয়ার বিয়ে হয়। কামরুল মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই তাদের ঝগড়া হতো। বুধবার তানিয়া বাবার বাড়ি যেতে চাইলে কামরুল বাধা দেন। এরপর রাতে খবার খেয়ে তানিয়া ও কামরুল ঘুমিয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিবেশীরা ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ওড়না পঁ্যাচানো অবস্থায় তানিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ ও ঘরের মেঝেতে বিষ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান। কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় পায়ের রগ কাটা অবস্থায় রেজাউল ইসলাম (৩০) ও দৌলতপুরে শিখা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রেজাউল আব্দালপুর গ্রামের মসলেম হকের ছেলে। তিনি পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি জাহাঙ্গীর আরিফ জানান, দেড়িপাড়া গ্রামের মাঠে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রেজাউলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওসি আরো বলেন, কাঠ ব্যবসায়ী রেজাউলের দুই পায়ের রগ কাটা ছিল। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রম্নতার জেরে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে জেলার দৌলতপুরে শিখা খাতুন (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিখা উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর রিফুজিপাড়া গ্রামের সোহেল হোসেনের স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী। দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান জানান, নিহতের গলায় দাগ রয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়র পর বিস্তারিত জানা যাবে। কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় মোসা. চম্পা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের গামরবুনিয়া গ্রামে একটি খোলা মাঠের ভিতর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মনিরুল ইসলাম জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তবে এ ঘটনার সাথে তার স্বামী বাবুল হাওলাদার জড়িত রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে তিনি উলেস্নখ করেন। পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো.মোজাম্মেল হোসেন জানান, স্থানীয় এক চৌকিদার লাশটির খবর দেয়ার পর স্বামী বাবুল হাওলাদারের বাড়ি থেকে অন্ততঃ ৩০০ গজ দূরে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করেন। তবে চম্পা বেগম অন্ততঃ দুই সপ্তাহ আগে নিখোঁজ হয়েছে বলে উলেস্নখ করেন তিনি।