রানীনগরের স্কোয়াশ চাষে আনোয়ারের সফলতা

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রানীনগর (নওগাঁ) সংবাদদাতা নওগাঁর রানীনগরের রকমারি সবজি চাষি আনোয়ার হোসেন স্কোয়াশ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। শীত মৌসুমে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি স্বল্প পরিমাণ জমিতে পরীক্ষামূলক স্কোয়াশ চাষ করে এক দিকে যেমন সফলতা পেয়েছেন, অন্যদিকে লাভবানও হয়েছে তিনি। নতুন এই সবজি চাষে চাষিরা সফল হলেও স্কোয়াশ চাষে ধারণা নেই জানালেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা। চাষি আনোয়ার হোসেন কালীগ্রাম দীঘির পার গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। এর মধ্যে ধাপেরহাটে স্কোয়াশ দেখে আদমদীঘি উপজেলার একজন বীজ বিক্রেতার পরামর্শে বীজ নেন। বাড়িতে মিস্টি কুমড়ার মতো বীজ বপন করে গাছ গজিয়ে পরে জমিতে রোপণ করেন। প্রায় দেড় মাস পর ফল আসতে শুরু করে। স্কোয়াশ গাছ একদম মিষ্টি কুমড়ার মতো। দেখে বোঝার উপায় নেই যে, এটি মিষ্টি কুমড়া নাকি স্কোয়াশ গাছ। মিষ্টি কুমড়া গোল হলেও স্কোয়াশ দেখতে বাঙ্গির মতো লম্বা এবং স্বাদে ও পুষ্টিতে একই। তবে মিষ্টি কুমড়ার গাছ অনেক লম্বা হলেও স্কোয়াশের গাছ সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই সবজি পাহাড়ি এলাকা এবং বিভিন্ন দেশে চাষ হলেও এই অঞ্চলে এটি একেবারেই নতুন বলছেন কৃষি কর্মকর্তা। উপজেলার সিম্বা গ্রামের সৌরভ খন্দকারও তিন কাঠা জমিতে স্কোয়াশ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। বাজারে প্রতি পিস স্কোয়াশ ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি স্কোয়াশ দেড় থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্কোয়াশ নতুন হওয়ায় এর চাষ পদ্ধতি জানতে ও দেখতে অন্য চাষিরা আসছেন তার কাছে। \হআনোয়ার হোসেন জানান, ৮ শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষে মাত্র প্রায় দেড় হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। এখনো প্রায় দুই-আড়াই হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করতে পারবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এই এলাকায় অনেকেই স্কোয়াশ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তাদের দেখাদেখি অনেকেই অফিসে আসছেন পরামর্শ নিতে। কিন্তু সঠিক ধারণা না থাকায় কৃষকদের পরামর্শ দিতে পারছেন না। আশা করছেন, আগামী মৌসুমে ব্যাপক আকারে স্কোয়াশ চাষ হবে।