সীতাকুন্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক পর্যটকশূন্য

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
পর্যটক বরণে প্রস্তুত হলেও ভরা মৌসুমে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্যবেষ্টিত সীতাকুন্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক। পর্যটক ও দর্শনার্থী না আসায় ক্রমাগত লোকসানে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পার্ক সংশ্লিষ্ট ইজরাদার ও ব্যবসায়ীরা। পার্ক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পৌর সদর থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিণে ফকিরহাট এলাকায় ১৯৯৬ একর পাহাড় জুড়ে এ পর্যটনকেন্দ্র অবস্থিত। যার ১০০০ একর বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ৯৯৬ একর জুড়ে রয়েছে ইকোপার্ক। পাখ-পাখালির কলেরব, প্রবাহমান প্রাকৃতিক ঝরণা, মনোমুগ্ধকর চিরসবুজ বৃক্ষরাজি সমাহারে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে পার্কটি। পার্কে আগত দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে ৩ টি পিকনিক স্পট ও ৮টি বিশ্রাম ছাউনি। বোটানিক্যাল গার্ডেনে গর্জন, ধারমারা, ডেউরা, হলুদ, বাঁশপাতা, বহেরা ও বিরল প্রজাতির সাইকাসসহ রয়েছে ১৪৫ প্রজাতির উদ্ভিদ। এছাড়া হরিণ, ভালস্নুক, খরগোশ, বানর, শূকর, বনরুই, বনমোরগ, সজারু এবং মায়া হরিণের মতো বিরল বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর অনোগোনায় আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এটি। পার্কের প্রবেশদ্বারে শাপলা ফুলে সজ্জিত পুকুর, নজরুলের মোরাল, মোটু-পাতলু শিশুপার্ক ও বাহারি ফুলের বাগান আনায়াসেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয়। সহস্রধারা ও সুপ্তধারার মতো প্রবাহমান ঝর্ণা ও গোধূলির রক্তিম আভায় তৈরি বোটানিক্যাল গার্ডেনের নৈসর্গিক পরিবেশ দেখতে প্রতি বছর এ সময় দর্শনার্থী ও পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে পার্কটি। পাশাপাশি পার্কে ঘুরতে আসে উপজেলার স্থানীয় প্রকৃতিপ্রেমি লোকজন। সম্প্রতি দূর-দূরান্তের পর্যটক কম আসায় ক্রমাগত লোকসানে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে পার্কের ইজারাদাররা। পাশাপাশি ব্যবসাশূন্য অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে পার্কের আশপাশে গড়ে ওঠা বিভিন্ন দোকানের ব্যবসায়ীরা। পার্ক এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, পার্কের পর্যটক ও দর্শনার্থীকে ঘিরে তাদের হোটেল ব্যবসা। ভরা মৌসুমে দূর-দূরান্তের পর্যটক ও দর্শনার্থী না আসায় ক্রমাগত লোকসানে ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। ইজারাদার সাহাব উদ্দিন বলেন, বেকারত্ব ঘুচিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় পার্কটি ইজারা নিয়েছিলেন। কিন্তু ভরা পর্যটন মৌসুমে পর্যটক না আসায় প্রতিনিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে।