হবিগঞ্জে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির ছড়াছড়ি!

প্রকাশ | ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জে নজরদারির অভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি। শহরের প্রায় প্রতিটি গলিতেই একাধিক ফার্মেসি যাদের নেই কোনো ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট। শুধু ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই চলছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ফার্মেসি ব্যবসা। এসব ফার্মেসিতে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে এন্টিবায়োটিকসহ সকল ধরনের ওষুধ। আর এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে হবিগঞ্জবাসী। হবিগঞ্জে প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহলস্নায় গড়ে উঠছে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি। আর এসব ফার্মেসির মূল গ্রাহক নিম্ন আয়ের মানুষজন। কোনো রকম ফার্মাসিস্ট ও ডাক্তার না থাকলেও ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই চলে সর্বরোগের ওষুধ বিক্রি। ফার্মেসির মালিক নিজেই ডাক্তার হয়ে যান। ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও করেন তারা। ফলে একদিকে যেমন ওষুধ ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে সাধারণ রোগীরা প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি ঘটছে নানা ধরনের ছোট-বড় দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত অপচিকিৎসার শিকার হয়ে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকে। আর এসব নিয়ন্ত্রণে নেই কে-নো নজরদারি। মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে এক দুই হাজার টাকার জরিমানা করেই খালাস ওষুধ প্রশাসন। বৈধ ব্যবসায়ীরা বলছেন প্রশাসন নজরদারি বাড়ালে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রেহাই পাবে জনসাধারণ। হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মিঠুন রায় বলেন, আমাদের দেশে ঘরে ঘরে চিকিৎসক। একটু জ্বর হলেই ফার্মেসিতে গিয়ে এন্টিবায়োটিক কেনেন। আর অর্থ লোভে ফার্মেসি থেকে ও যে কোনো ওষুধ ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হয়। এতে মারাত্মক হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। জেলা ড্রাগ সুপার শিকদার কামাল হোসেন জানান, লোকবলের সংকটের কারণে নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বেগ পেতে হলেও থেমে নেই প্রশাসন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন, হচ্ছে জেল জরিমানাও। লাইসেন্স সংগ্রহ না করেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন এমন ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি জানান। জেলা সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে রোগী, ফার্মেসি প্রশাসন সবাইকেই সচেতন হতে হবে। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে সভা সেমিনার আয়োজন করতে হবে। প্রশাসনের উচিত এ ব্যাপারে নিয়মিত নজরদারি করা।