অসময়ে ইলিশে সয়লাব চাঁদপুর

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের মৎস্য আড়তে অসময়ে ধরা পড়া ইলিশ -যাযাদি
অসময়ে ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে চাঁদপুরের ইলিশ বাজার। বিগত বছর শীতের এই সময়ে নদীতে ইলিশ পাওয়া না গেলেও এ বছরের চিত্র উল্টো। সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে ইলিশের চাহিদা কম থাকায় দামও কিছুটা কম। জেলা মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত বলেন, বাজারে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শীতের মৌসুমে প্রচুর ইলিশ আমদানী হচ্ছে। আমদানি অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদা নেই তেমন একটা। তাই ইলিশের দাম এখন কম। এভাবে অসময়ে ইলিশ ধরা পড়ায় মূল মৌসুমে নদীতে ইলিশ পাওয়া নিয়ে তারা শঙ্কিত। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট জেলা নদী কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেন, নদী ও সাগরে ইলিশ সংরক্ষণে সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে এখন ইলিশ মিলছে। এ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ইলিশ সংরক্ষণের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ভবিষ্যতে সারা বছরই নদীতে ইলিশ পাওয়া যাবে। চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশ নিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন আড়তদার ও শ্রমিকরা। ভরা মৌসুমে ইলিশের আমদানিতে বাজারটি বেশ জমজমাট থাকে। তবে সেই ধারার সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে নতুনমাত্রা। মৌসুম না হলেও এই শীতে ইলিশের আমদানি বেশি হওয়ায় জমজমাট মাছের আড়ত। প্রতিদিন এ আড়তে ৬ থেকে ৭০০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। ইলিশ ব্যবসায়ী ওচমান গনি বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা না পড়লেও দক্ষিণাঞ্চলে ইলিশ পড়ছে বেশ। সাগর মোহনায় ধরা পড়া এসব ইলিশ চাঁদপুরের বাজারে সরবরাহ হচ্ছে। অসময়ে বাজারে ইলিশ আসায় খুশি ব্যবসায়ীরা। ইলিশ ব্যবসায়ী ফারুক আহমদ জানান, বর্তমানে চাঁদপুর মৎস্য আড়তে এক কেজি পরিমাপের ইলিশ ৭০০ থেকে ৭৫০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের ইলিশ কেজিপ্রতি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এসব ইলিশ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনা ফেরিঘাট এলাকার জেলে বাচ্চু বলেন, মেঘনা নদীতে ইলিশ তেমন একটা নেই বললেই চলে। বাজারে যেই ইলিশ দেখা যাচ্ছে, তা চাঁদপুরের নয়।