ইসলামপুরে পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

ইসলামপুর (জামালপুর) সংবাদদাতা
জামালপুরের ইসলামপুরে বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র ডাক্তারি পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করা হচ্ছে। শহরের শহিদ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ ব্রিজ পাড় বঙ্গবন্ধু মোড় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় খাবার অনুপযোগী, রুগ্‌ণ, চোরাই মহিষ জবাই করে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের 'পশু জবাই ও মাংস পরীক্ষা' নীতিমালায় বলা হয়েছে, 'জবাইখানায় পশু রাখার শেড থাকতে হবে। ঝুলিয়ে পশুর চামড়া ছাড়াতে হবে যাতে মাটি স্পর্শ করতে না পারে। কমপক্ষে তিন দিন পশু রেখে ডাক্তারি পরীক্ষায় সার্টিফিকেট মিললেই জবাইয়ের জন্য নেওয়া হবে। প্রসেসিং রুমে প্যাকেটিং করার আগে ভেটেরিনারি সার্জন পয়জন ও অ্যান্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য পরীক্ষার পর সার্টিফিকেট দেবেন এটা বাজারজাত হবে কি না। জবাইখানায় আট ঘণ্টা হিসেবে প্রতি শিফটে একজন ভেটেরিনারি ডাক্তার, হুজুর, পরিদর্শক, সিলম্যান এবং ক্লিনার থাকবে। এ আইন লঙ্ঘনকারীর ভ্রাম্যমাণ আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হলে অনূর্ধ্ব এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা নূ্যনতম পাঁচ হাজার এবং অনূর্ধ্ব ২৫ হাজার টাকা আর্থিকদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর কসাইখানার অধীনে পৌর এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২টি মাংসের দোকান রয়েছে। এসব দোকানের ইজারাদার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামতো বাজারের যত্রতত্র পশু জবাই করছে। দুর্গন্ধে বাজারের মার্কেটসহ পৌরসভার রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। আবার দেখা যায় অসুস্থ ও দুর্বল পশুর মাংস বিক্রয়, ওজনে কম দেওয়া, খাওয়ার অনুপোযোগী অংশ গোপনে দিয়ে দেওয়া, ক্রেতা ভেদে দাম বেশি নেওয়া ও ময়লাযুক্ত মাংস বিক্রয় করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছানোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন। মেয়র আব্দুল কাদের শেখ জানান, পৌর এলাকায় অনুমতি ছাড়া পশু জবাই করে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।