কোরবানির পশুর হাট

এবার দেশি গরুর চাহিদা বেশি, দাম চড়া

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
সিলেট বিশ্বনাথে রামপাশা কোরবানির পশুর হাটের একাংশ Ñযাযাদি
ঈদের আর একদিন বাকি। শেষ মুহ‚তের্ ক্রেতা বিক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠেছে কোরবানির পশু হাট। তবে এবার দাম বেড়েছে দেশি গরুর। রোববার দেশের বিভিন্ন হাটে ক্রেতা-বিক্রাতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিনিধি এবং সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : তানোর (রাজশাহী): মুÐমালা হাটে কোরবানির পশু কিনতে যাওয়া ক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে ১০০ কেজি গরুর মাংস হবে এমন গরুর দাম ছিল ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। কিন্ত শনিবার সে গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকায়। আর ২২ কেজি মাংস হবে এমন খাসি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকায়। শনিবার দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকায়। মাদারীপুর : মাদারীপুরে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে সকাল থেকেই দূর-দুরান্ত থেকে গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। এ বছর গরুর দাম স্বাভাবিক থাকায় গরু কিনে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা। গরু ব্যবসায়ী ওবায়দুল মুন্সী ও ওলিউল্লাহ খান জানান, গরু লালন-পালন করতে এ বছর খরচ অনেক বেশি হয়েছে। সে তুলনায় গরুর দাম একটু কম থাকায় তারা লোকসানের আশংকা করছেন। বিশ^নাথ (সিলেট) : ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। হাটগুলোতে দেশি-বিদেশি পশুসহ উঠতে শুরু করেছে। এমনই চিত্র দেখা গেল সিলেটের বিশ^নাথের বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে। উপজেলা প্রশাসন বিশ^নাথের স্থায়ী ৩টি পশুর হাটের সঙ্গে যুক্ত করে আরও অস্থায়ী ৯টি পশুর হাট নিলামের মাধ্যমে বাসনোর অনুমোদন দিয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, এবারে হাটের গরু বেশিরভাগই দেশি। ইজারাদার ফজর আলী জানান, হাটের ৯০ শতাংশ গরু দেশি। মোটামোটি বেচা-কেনা হচ্ছে। শতকরা ৮ টাকা খাজনা নেয়া নিধাির্রত হলেও তার চেয়ে কম নেয়া হচ্ছে। টঙ্গিবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) : ক্রেতা-বিক্রেতার সরব উপস্থিতিতে জমে উঠেছে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সবচেয়ে বড় আলদী, শুভচনী ও আব্দুল্লাপুর কোরবানি পশুর হাট। এ সব হাট কমিটির ইজারাদার সাধারণ সম্পাদক মজিবুর বেপারী, ফজলুল হক স্বপন, নয়ন বেপারী জানান, ঈদ ঘনিয়ে এলেও বিখ্যাত এই সব হাটে দূর-দুরান্ত থেকে শত শত গরু, ছাগল, মহিষ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতারা ভিড় জমান। এ বছর গরুর দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে থাকায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই খুশি। এখন থেকে প্রতিদিন এই সব হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। পূবর্ধলা (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার পূবর্ধলা উপজেলায় কোরবানির পশুর হাটগুলো বেশ জমে উঠেছে। পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে তীব্র গরম উপেক্ষা করে বিভিন্ন পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম স্বাভাবিক পযাের্য় থাকায় বিক্রিও ভালো বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। উপজেলা সদর বাজারে রোববার সবচেয়ে বড় ষঁাড় বিক্রেতা কৈলাটি গ্রামের শাহিন মিয়া জানান, তার ষঁাড়টি ১ লাখ ৩২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। বাজারে অপেক্ষাকৃত ছোট ও মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদা বেশি। সীতাকুÐ (চট্টগ্রাম) : সীতাকুÐে জমে উঠেছে স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট। কোরবানি উপলক্ষে এবার উপজেলার পশুর হাট দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির গরুতে ভরপুর রয়েছে। এতে পযার্প্ত দেশি গরুর সরবরাহ থাকায় ক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম রয়েছে পশুর হাট। অন্যদিকে কাক্সিক্ষত বিক্রিতে লাভবান হচ্ছেন ইজারাদার ও গরু ব্যবসায়ীরা। তবে শেষ সময়ে দাম কম হওয়ার প্রত্যাশায় বাজার ঘুরে খালি হাতে ফিরছেন অনেক ক্রেতা। মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) : জমে উঠেছে খাগড়াছড়ি জেলার কোরবানির পশুর হাটগুলো। কৃত্রিম কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবে এখানে গরু পালন এবং মোটাতাজা করা হয় বলে সমতল জেলাগুলোতেও পাহাড়ের গরুর বাড়তি আকষর্ণ থাকায় প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক ক্রেতা সমতল থেকে আসে পাহাড়ের গরু নেয়ার জন্য। অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছরও স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে খাগড়াছড়ির গরু যাচ্ছে সমতলের বিভিন্ন জেলায়। ভালো দামে নিজের কষ্টে পালিত গরু বিক্রি করতে হাটে ভিড় করছেন বিক্রেতারা তেমনি পছন্দের গরুটি কিনতে আগ্রহের কমতি নেই ক্রেতাদের। সকাল থেকেই হাটগুলোতে নিজের পালিত পশু নিয়ে হাজির হচ্ছেন খামারি ও গরু পালনকারীরা। আর দুপুরের পর থেকে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে ক্রেতাদের। হাট ঘুরে দেখে নিধাির্রত বাজেটের মধ্যে গরু কিনছেন ক্রেতারা। এবার বাজারগুলোতে বড় আকারের গরুর সরবরাহ নেই বললেই চলে। ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর সরবরাহ বেশি। হাটে ৪০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যেই মিলছে পছন্দের গরু।