চার জেলায় ৫ লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, বান্দরবান, কুষ্টিয়ার হরিনারায়ণপুর ও সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে দুই নারীসহ আরও চারজনের মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে। স্টাফ রিপোর্টার, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর: ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রতন মিয়া (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ডাবিরঘর এলাকার একটি খালের পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রতন উপজেলার ডাবিরঘর গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ তাকে হত্যা করেছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। বান্দরবান : বান্দরবানে গলায় ফাঁস দিয়ে রিনা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দুপুরে শহরের বনরূপা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। রিনা ওই এলাকার মো. জাহেদের স্ত্রী। কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন হরিনারায়ণপুরে আব্দুল আওয়াল নামের মাদকাসক্ত এক যুবক স্ত্রী শাহানা খাতুন (৩০) কে কুপিয়ে হত্যার পর মাকেও কুপিয়ে গুরতর জখম করেছে। মাদকাসক্ত যুবক আওয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ইবি থানা হরিনারায়ণপুরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। যুবকের মা জবেদা খাতুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) : দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের প্রতিবেশীর খেতে খিরা খাওয়া নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ১ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত চাঁন মিয়া মুরাদপুর গ্রামের মৃত বাছির উদ্দিনের ছেলে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় ওই গ্রামের নিহত চাঁন মিয়ার ছেলে সানি মিয়া (৮) প্রতিবেশী হাবিবুর মিয়ার ক্ষেতে প্রবেশ করে খিরা খায়। এতে প্রতিপক্ষরা চান মিয়ার বাড়িতে এসে তাকে গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে চাঁন মিয়াকে আঘাত করে। আহত চান মিয়াকে স্বজনরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।