শেষ মুহ‚তের্ জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
গোপালগঞ্জে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ছবিটি রোববার তোলা Ñযাযাদি
শেষ মুহ‚তের্ জমে উঠেছে কোরবানির পশু বিক্রির হাট। আর একদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পশুর হাট। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর: কাউনিয়া ( রংপুর): কাউনিয়া উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তকিপল হাট, খানসামা হাট, টেপামধুপুর হাট, মীরবাগ হাট, শহীদবাগ হাট, মিলনবাজার হাট, সারাই হাট, মেনাজবাজার হাটসহ তিস্তার চরাঞ্চল গ্রামে স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে ১৯টি কোরবানির পশু বিক্রির হাট বসেছে। কোরবানির জন্য পছন্দের পশুটি কিনতে ক্রেতার ছুটছেন এ হাট থেকে অন্য হাটে। সরজমিনে হাটে জানা গেছে, হাটগুলোতে গত ৪-৫ দিন ধরে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও সোমবার দুপুর থেকে জমে উঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। উত্তরবঙ্গের বৃহৎ বিড়িরশিল্প এলাকা হিসেবে পরিচিত হারাগাছের সারাই পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে সহস্রাধিক পশু এসেছে। আর বাজারে সবির্নম্ন গরু ২৭ হাজার টাকা থেকে একলাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ছাগল ৪৫০০ থেকে ১৩৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়াও উপজেলার সাপ্তাহিক খানসামা ও তকিপল বাজার পশুর হাট অন্যান্য অস্থায়ী হাটে প্রায় কয়েক হাজার গরু, ছাগল ও ভেড়া উঠেছে। তবে এ বছর গরুর দাম কম হলেও ছাগলের দাম কিছুটা বেশি। ডামুড্যা (শরীয়তপুর): ডামুড্যা উপজেলায় ১টি স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। উপজেলার বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশি গরুর দাম চড়া। এবার হাটে ছোট আকারের গরুর দাম ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি আকারের গরুর দাম হঁাকছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। বড় আকারের গরুর দাম ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। ডামুড্যায় গরু কিনতে যাওয়া শামসুল আল আমিন বলেন, বেপারীরা দাম অনেক বেশি বলছেন। দেশি গরুর দাম লাখের উপরে চাচ্ছেন। মাংস চার মণও হবে না। গরুর বেপারীরা দাবি করেন, বিগত ছয় মাসে ভারত থেকে একটা গরুও আসেনি। কোরবানির পরেই নিবার্চনের আয়োজন। তাই অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কোরবানি দেয়ার হারও বেশি হবে। নিবার্চনে অংশ নিতে পারেন এমন প্রাথীর্রা একাধিক পশু কোরবানি দেবেন, তাই গরুর দাম এবার বেশি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কমর্কতার্ সিরাজুল হক বলেন, প্রতিবারই কম বেশি এই উপজেলায় পশু লালন-পালন করে বিক্রি করা হয়। এবারও চাহিদা মতো পশু মজুত না থাকলেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে আসা গরু সে চাহিদা পূরণ করেছে। চঁাদপুর: চঁাদপুরে এ বছর কোরবানির হাটগুলোতে বেশিী ভাগই দেশীয় গরু উঠেছে। ফরিদপুর থেকে ব্যবসায়ীদের আনা স্বল্পসংখ্যক ভারতীয় গরু এলেও তা দেশীয় গরুর তুলনায় খুবই কম। বিগত কয়েক বছর ফরিদপুর থেকে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় গরু বেশি আমদানি করার কারণে তখন দেশীয় খামারি ও কৃষকরা অনেক ক্ষেত্রে দাম কম পেয়েছেন। চঁাদপুর সদরের সবর্বৃহত্ত কোরবানির পশুর হাট বাগাদী চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, দেশীয় খামারি ও গৃহস্থদের গরুর সংখ্যাই বেশি। আর ভারতীয় যেসব গরু ব্যবসায়ীরা এনেছেন তা তাদের কয়েক মাস পূবের্ ক্রয় করা। আর জেলার অন্যান্য বাজারের মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা বাজার সদরের সফরমালি বাজারে গরু আমদানি হয়েছে প্রচুর। বাজার ঘুরে দেখাগেছে, বাগাদী চৌরাস্তা বাজারে অধিকাংশ গরু ব্যবসায়ী ফরিদপুর জেলা থেকে আসা। আর স্থানীয় কিছু খামারি ও গৃহস্থদের গরুর সংখ্যাই বেশি। তবে স্থানীয়দের গরু সাইজে একটু ছোট। স্থানীয় ক্রেতা রহমান গাজি জানান, এ বাজারে সব মূল্যের গরু পাওয়া যায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে চঁাদপুর শহর, ফরিদগঞ্জ ও ল²ীপুর জেলার রায়পুর থেকে অনেক মানুষ দলে দলে গিয়ে গরু ক্রয় করেন। এছাড়াও রোববার নিয়মিত বাজার বসেছে বাঘড়া বাজারে। সেখানেও সকাল থেকে হাটে দেশীয় গরু আসতে শুরু করে। অধিকাংশ গরু স্থানীয়দের হওয়ার কারণে আশাপাশের লোকজন এ বাজারের ক্রেতা। দাম সহনীয় রয়েছে বলে জানান কয়েকজন ক্রেতা।