জনবল সংকটে হেমনগর রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
জনবল সংকটে বন্ধ হয়ে আছে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর রেলওয়ে স্টেশন -যাযাদি
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জনবলের অভাবে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর রেলওয়ে স্টেশন প্রায় ৩ বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে নানা ভোগান্তিসহ ট্রেন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। অবিলম্বে জনবল পদায়ন, যাত্রী নিরাপত্তাসহ রেলওয়ে স্টেশনটি শতভাগ যাত্রী সেবায় পরিণত করার দাবি, এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-জামালপুর ভায়া বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেললাইনে জামালপুর এক্সপ্রেস নামে এক জোড়া নতুন (উদয়ন ও পাহাড়িকা) আন্তঃনগর ট্রেন চালু করেন। ২৭ জানুয়ারি থেকে তা নিয়মিত চলাচল করছে। ট্রেনটি গোপালপুর উপজেলার হেমনগর স্টেশনে ও নিয়মিত থামে। এটি ছাড়াও ৩৭ আপ ৩৮ ডাউন বাহাদুরাবাদ এক্সপ্রেস, ২৫৩ আপ ২৫৪ ডাউন ধলেশ্বরী মেইল এবং ৭৫ আপ ৭৬ ডাউন লোকাল ট্রেন ও হেমনগর স্টেশনে যাত্রী উঠানামা করায়। কিন্তু জনবল সংকটের অজুহাতে গোপালপুরের হেমনগর রেলওয়ে স্টেশন ৩ বছর ধরে বন্ধ রাখায় যাত্রীসেবা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে নতুন আন্তঃনগর ট্রেনটি চালুর পর স্বল্প সময়ে ঢাকা যাতায়াত সহজতর হওয়ায় হেমনগর স্টেশনে যাত্রীর চাপ বাড়ছে। কিন্তু স্টাফের অভাবে পুরো স্টেশন এখন অরক্ষিত, অভিভাবকহীন। টিকিট মাস্টার না থাকায় যাত্রীরা এখান থেকে কোটায় অথবা স্ট্যান্ডিং টিকিট সংগ্রহ করতে পারছে না। কেউ কেউ ১০ কিলো মিটার দূরে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভূঞাপুর অথবা ১৫ কিলোমিটার দূরের জামালপুর উপজেলার সরিষাবাড়ী স্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করেন। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুম খান জানান, হেমনগর রেলস্টেশনে তিনজন মাস্টার, তিনজন কোয়ান্টার্সম্যান, তিনজন বুকিং ক্লার্ক এবং একজন চতুর্থ শ্রেণির পদ দীর্ঘ দিন ধরে খালি। জনবলের অভাবে স্টেশনটি টানা প্রায় ৩ বছর ধরে বন্ধ। সমস্যার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।