পাইকগাছা-কয়রায় চিংড়ি পোনার তীব্র সংকট

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা
খুলনার পাইকগাছা-কয়রায় মৌসুমের শুরুতেই চিংড়ি পোনার সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন ৫ কোটি পোনার চাহিদার স্থলে সরবরাহ মিলছে এক থেকে দেড় কোটি। ফলে প্রতিদিন চাহিদার তুলনায় ঘাটতি থাকছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি পোনা। সরবরাহ কম থাকায় গত বছরের চেয়ে এবার পোনার দামও অনেক বেশি। বর্তমানে পোনা নিয়ে মহাবিপাকে রয়েছেন ঘের প্রস্তুতকারী চিংড়ি চাষিরা। প্রাকৃতিক উৎস থেকে পোনা আহরণ বন্ধ, স্থানীয় হ্যাচারিতে সরবরাহ না থাকা, কক্সবাজারের হ্যাচারির কম সরবরাহ ও প্রয়োজনীয় মা চিংড়ির অভাবে এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পোনা ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মৎস্য দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, পাইকগাছায় প্রায় ২০ হাজার এবং কয়রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হয়ে থাকে। প্রতিবছর জানুয়ারি-ফেব্রম্নয়ারি মাসে ঘেরগুলো নতুনভাবে প্রস্তুত করে চাষ শুরু হয়। সাধারণত শীত শেষে গরমের শুরুতেই চাষিরা ঘেরে পোনা মজুদ করেন। সে অনুযায়ী যেসব চাষিদের ঘের প্রস্তুত হয়েছে তারা এখন পোনা মজুদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ না থাকায় চিংড়ি পোনার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য চিংড়িচাষি পোনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে এসে পোনা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছেন। পোনা মজুদ করতে না পেরে মহাবিপাকে রয়েছেন চাষিরা। পাইকগাছার সবুজ মৎস্য খামারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসতিয়ার রহমান শুভ জানান, ঘের প্রস্তুত করার পরও প্রতিদিন যে পোনার প্রয়োজন তা ১০ দিনেও মেলাতে পারছেন না। শুরুতেই এ ধরনের সংকট থাকলে উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। খুলনা বিভাগীয় পোনা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রিপন জানান, স্থানীয় হ্যাচারিগুলো এখনো সরবরাহ শুরু করতে পারেনি। মা চিংড়ির অভাবে মৌসুমের শুরুতেই পোনার সংকট দেখা দিয়েছে। বিশিষ্ট এ ব্যবসায়ী বলেন, স্থানীয়ভাবে পাইকগাছায় ৪টি হ্যাচারির মধ্যে দুটির উৎপাদন শুরু করলেও সরবরাহ করতে পারেননি। কয়রা দুইটার মধ্যে একটা শুরু করলেও সরবরাহ নেই। এ ব্যাপারে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানান, এসপিএফ পোনার চাহিদা বেশি থাকায় হ্যাচারি মালিকদের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। ফলে হ্যাচারিতে তুলনামূলক পোনা উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিছু দিনের মধ্যে সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।