সীতাকুন্ডে যাত্রী ওঠানামায় দুর্ঘটনা

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)
চলতে চলতে হঠাৎই মহাসড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলে গণপরিবহণ। লক্ষ্য একটিই, যেন অন্য কোনো পরিবহণ তাকে অতিক্রম করে সামনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের তুলে নিতে না পারে। সীতাকুন্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণপরিবহণগুলোর এ দৃশ্য নিত্যদিনের। মহাসড়কে হঠাৎই লোকাল বাস-মিনিবাস দাঁড়িয়ে পড়ায় পেছন থেকে আসা দূরপালস্নার দ্রম্নতগামী গাড়িসহ অন্যান্য যানবাহনের চালকরা পড়ে যান বিপাকে। অনেক সময় তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাস অথবা পথচারীকে চাপা দেন। তখন ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এভাবে প্রতিনিয়ত অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটলেও এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই হাইওয়ে পুলিশের। সরেজমিনে উপজেলার বড়দারোগারহাট থেকে ভাটিয়ারি পর্যন্ত এলাকায় ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘুরে দেখা গেছে, এ রুটে ট্রাফিক আইনের কিছুই মানছে না লোকাল বাস-মিনিবাসগুলো। এসব বাসের চালকরা দ্রম্নতগতিতে চলতে থাকলেও কোনো যাত্রী দেখে হঠাৎ তারা দাঁড়িয়ে পড়ছে। এতে পেছন থেকে দ্রম্নত আসা দূরপালস্নার যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কখনো ঐ গাড়ির পেছনেই ধাক্কা দিচ্ছে অথবা গাড়িটিকে বাঁচাতে গিয়ে সড়কের পাশে এসে কোনো পথচারীকে চাপা দিয়ে মারছে। এছাড়া উল্টোপথে যান চলাচলও আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে গেছে। পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, সীতাকুন্ড পৌরসদর বাস স্ট্যান্ড, বাড়বকুন্ড, কুমিরা ও ভাটিয়ারীর মতো বড় বাজারগুলোতেই ট্রাফিক আইন ভাঙার ঘটনা বেশি। সীতাকুন্ড সদর বাসস্ট্যান্ডে যত্রতত্র অবৈধ পার্কিংয়ের ছড়াছড়ি। এখানে মহাসড়ক দখল করে সার্বক্ষণিক কিছু লোকাল যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রীর অপেক্ষায়। যা দুর্ঘটনার একটি অন্যতম কারণ বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম। তিনি বলেন, এই বাজার থেকে বাসগুলোকে আরও দূরে সরিয়ে রাখা না হলে অতীতের মতো আরও বহু প্রাণহানি হতে পারে এখানে। ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ভাটিয়ারী বাজারটিতে মাঝে মাঝে এত যানজট হয় যে চলাফেরা করাই মুশকিল হয়ে যায়। রাস্তার উভয় পাশে যেখানে সেখানে যানবাহন দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করায়। সেখানে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন, কিন্তু তারা দেখেও দেখেন না। বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আবদুল আওয়াল বলেন, ভাটিয়ারীতে বেশির ভাগ যানজট হয় বৃহস্পতিবার। এদিন মিলিটারি একাডেমির আর্মি সদস্যরা বাড়ি যাতায়াত করতে গিয়ে হেঁটে মহাসড়কে বারবার পারাপার হন। এ সময় কিছুটা যানজট হয়। তিনি বলেন, এখানে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডটি আমি স্থাপন করিনি। বিভিন্ন কোম্পানির কর্মকর্তারা সকালে তাদের গাড়ি রাখেন আবার বিকালে চলে যাবার সময় নিয়ে যান। এটি উচ্ছেদ করতে পারেন জনপ্রতিনিধিরা। তারা না করলে আমার কিছু করার নেই।