কমলনগরে এক কর্মকর্তায় চলে হিসাবরক্ষণ কার্যক্রম!

প্রকাশ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

কমলনগর (লক্ষ্ণীপুর) সংবাদদাতা
লক্ষ্ণীপুরের কমলনগর উপজেলা সৃষ্টির প্রায় এক যুগেরও বেশি ধরে মাত্র একজন লোক দিয়ে চলছে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের কার্যক্রম। এতে সেবা গ্রহীতারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই অফিসে প্রতিদিন শত শত লোক তাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বিল অনুমোদনসহ বিভিন্ন কাজে এ অফিসে আসতে হয়। জানা যায়, ২০০৬ইং সালে রামগতিকে ভাগ করে নতুন উপজেলা সৃষ্টির পর থেকে এ অফিসে ৭ জন লোক কাগজে-কলমে থাকার কথা থাকলেও মাত্র একজন অডিটর দিয়ে চলছে জনগুরুত্বপূর্ণ এ অফিসের কার্যক্রম। জানা যায়, উপজেলার এ অফিসে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা একজন, অডিটর একজন, জুনিয়র অডিটর দুইজন, কম্পিউটার অপারেটর একজন, সুপার এস এ এস একজন ও অফিস সহায়ক একজনের পদ রয়েছে। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা অছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে। জেলা একাউন্ট অফিসের মূল দায়িত্বে আছেন তিনি। মাঝে মধ্যে তিনি সময় পেলে আসেন। আর অডিটর মো. মহিউদ্দিন একাই সকল কার্যক্রম করতে হচ্ছে। সকল পদের কাজ তিনি একাই সমাধান করতে হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ৬ জনের কাজ আমার একা করতে হয়। শত কষ্টের পরও গ্রাহকদের যেন ভোগান্তি পোহাতে না হয় এ জন্য অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছি এবং সকলের বিল ফাইল যত দ্রম্নত সম্ভব ছাড় দেয়ার চেষ্টা করি। কমলনগর উপজেলা একাউন্ট কর্মকর্তা (অ. দা.) গোলাম হায়দর ভূঁইয়া বলেন, প্রতি মাসে জনবল সংকটের রিপোর্ট আমারা ঊর্ধ্বতন মহলকে অবহিত করি। তারপরও জনবল সংকটের কোনো সমাধান হয় না। লোকজন কম হলেও জনগণের সেবা দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়িত।