সোনাইছড়িতে হচ্ছে ১০ শয্যার হাসপাতাল

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)
সীতাকুন্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বানু-মোনাফ নামে নির্মিত হচ্ছে ১০ শয্যার একটি আধুনিক সরকারি হাসপাতাল। মা ও শিশুসহ সকল স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে এই হাসপাতালে। হাসপাতালের জন্য তিন কোটি টাকা মূল্যের ৫১ শতক জমি দান করেছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিপব্রেকার্স মাস্টার আবুল কাসেম। সেখানে প্রায় ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দুটি বহুতল ভবন। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে গত ডিসেম্বর মাস থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে হাসপাতালটি চালু হতে পারে। ২০১৭ সালের জুনে অজ্ঞাত রোগে ইউনিয়নের ত্রিপুরা পাড়ায় ১১ শিশু মারা যায়। আক্রান্ত হয় আরও শতাধিক শিশু। পরবর্তীতে অজ্ঞাত রোগটি 'হাম' বলে জানা যায়। ওই সময় উঠে আসে ত্রিপুরা পলিস্নর বাসিন্দাদের আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা না নিয়ে ঝাড়ফুঁক ও কবিরাজি চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি। হামসহ ১০টি রোগের টিকা সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেওয়ার বিষয়টি ছিল তাদের অজানা। শিশু মৃতু্যর ঘটনার পর সরকারিভাবে ত্রিপুরা পলিস্নর পাশে ওই সময় অস্থায়ীভাবে স্থাপিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। পাহাড়ে নৃগোষ্ঠীসহ স্থানীয়রা চিকিৎসা নিচ্ছেন সেখান থেকে। প্রতিদিন দেড়শ থেকে দুশ রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত হয় ওই এলাকায় যদি কেউ জমি দান করে তাহলে ১০ শয্যার একটি হাসপাতাল করবে সরকার। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ জমির সন্ধান শুরু করেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের অনুরোধে জমি দান করেন স্থানীয় শিল্পপতি মাস্টার মোহাম্মদ আবুল কাসেম। তিনি সরকারি নিয়ম মোতাবেক ৫১ শতক জমি নিজ খরচে রেজিস্ট্রারি করে দেন হাসপাতালের জন্য। চেয়ারম্যান মনির আহমেদ বলেন, এখানকার চার শতাধিক নৃগোষ্ঠী পরিবার আধুনিক চিকিৎসাসেবা কী জানত না। সরকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র করার উদ্যোগ নেওয়ায় নৃগোষ্ঠীসহ স্থানীয়রা উপকৃত হবে। জমিদাতা আবুল কাসেম বলেন, পাহাড়ে থাকা নৃগোষ্ঠীসহ স্থানীয় গরিব অসহায় পরিবারগুলো অর্থাভাবে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যান মনির আহমেদ বিষয়টি জানালে তিনি জমি দান করেন।