গোয়েন্দা নজরদারিতে কুষ্টিয়ার চাল উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
এক সপ্তাহের ব্যবধানে কুষ্টিয়ায় আবারও বেড়েছে চালের দাম। এখানকার দামের ওপর নির্ভর করে গোটা দেশের চালের দাম। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় জরুরি বৈঠকে বসেছে প্রশাসন। সব চাল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলার চালকল মালিক সমিতি ও চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন। কালোবাজারির কারণে যেন চালের দাম বৃদ্ধি না পায়, সে ব্যাপারে হুশিয়ারি দিয়েছে মিল মালিকদের। জেলায় ৩৩টি অটো রাইসমিলসহ ছোট বড় ৬৩০টি রাইসমিল রয়েছে। এ ছাড়া ধান সিদ্ধ-শুকানোসহ প্রক্রিয়াজাতকরণ চাতাল রয়েছে সহস্রাধিক। এসব উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পুলিশের বিশেষ শাখা ও সাদা পোশাকে পুলিশ নজরদারি রাখছে। মিনিকেট চালের সবচেয়ে বড় মোকাম কুষ্টিয়া। এক সপ্তাহে এখানকার মোকামে মিনিকেট চালের চার টাকা আর অন্যান্য চালের দাম বেড়েছে ২-৩ টাকা। এ নিয়ে গত দুই মাসে চালের দাম বাড়ল তিন দফা। কুষ্টিয়ার পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিপ্রতি এক টাকা বাড়লে দেশের অন্য বাজারগুলোতে ৩-৫ টাকা বেড়ে যায়। মিনিকেট চাল কুষ্টিয়ার পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ঢাকাসহ জেলাগুলোতে ৫২-৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। মিল মালিকরা বলছেন, ধানের দাম বেশি তাই চালের দাম বেড়েছে। চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সোমবার মিল মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, মিল মালিকদের গুদামে ধান মজুদ নেই। মিল চালানোর জন্য ধান কিনতে হয়। আর ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বেড়েছে। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। কোনো অযৌক্তিক কারণে চালের বাজার অস্থির করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত বলেন, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে সব কয়টি মিলের ওপর। কোনো রকম কালোবাজারি করে চালের দাম বৃদ্ধি করার সুযোগ দেয়া হবে না।